রবিউল হাসান রাজিবঃ ফরিদপুর দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। তারই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের তাৎপর্য অনেক গভীর। দিনটিকে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সুর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলার সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল ৬ টায় শহরের অম্বিকা ময়দানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করা হয়। প্রথমে সদর ৩ আসনের এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা (প্রশাসন ও অপরাধ), জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও সামাজিক সংগঠনসমুহ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আসলাম মোল্লা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তাসলিমা আলী, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুম রেজা, সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোশাররফ আলী, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম ফারুক হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে সকাল ৮.৩০ বঙ্গবন্ধু ম্যারাথন, বেলা ১১টায় সাইকেল র্যালী, সুবিধাজনক সময়ে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ ও ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু বিষয়ে আলোচনা সভা, শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার, বঙ্গবন্ধুর জীবনের উপর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন, বাদ যোহর ও সুবিধাজনক সময়ে জেলার সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপসনালয়ে দোয়ার ব্যবস্থা, বিকেল ৩.৩০ টা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মুজিববর্ষ মঞ্চে শতকন্ঠে ৭ মার্চের ভাষণ পাঠ, ভাষণ প্রতিযোগীতা, আলোচনা সভা ও বিভিন্ন প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ এবং রাত ৮ টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বর্ণিল আলোক উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।