রবিউল হাসান রাজিবঃএকুশে ফেব্রুয়ারি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
অতিতে আজকের সেই দিনে মার্তৃভাষা আদায়ের দাবিতে সালাম, বরকত, রফিক, শফিক আরো নাম না জানা ছাত্ররা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করেছিলেন, কোটি কোটি বাঙালির মনে আশা জাগিয়েছিলেন, স্বপ্নকে রাঙিয়েছিলেন রক্তের অক্ষরে। তাদের জ্বালানো দীপশিখাই একাত্তরে আরও উজ্জ্বল হয়ে রূপ নিয়েছিল স্বাধীনতায়।
এ দিনটিকে স্মরনে রাখতে প্রতি বছরের ন্যায় আজ ফরিদপুরে যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা আয়োজনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। দিবসের প্রথম প্রহরে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি অম্বিকা ময়দানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।
ভাষা শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শহীদ মিনারে প্রথমে সদর ৩ আসনের সাংসদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পক্ষে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
পরে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার এর নেতৃত্বে কর্মকর্তাবৃন্দ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পুলিশ সুপার মোঃ আলীমুজ্জামান (বিপিএম) এর নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর পৌরসভা, প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এদিকে সকাল ৮ টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ হতে প্রভাত ফেরি বের করা হয়। প্রভাতফেরিটি শহরের মুজিব সড়ক প্রদক্ষিণ করে অম্বিকা ময়দানে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
দিনটি উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিকেল ৫ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মুজিববর্ষ মঞ্চে ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সংগীত, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হবে। এছাড়া আগামী ২০ মার্চ ‘আট আনায় জীবনের আলো কেনা’ শ্লোগানকে উপজীব্য করে ফরিদপুর অমর একুশে গ্রন্থমেলা উদ্বোধন করা হবে, যা ২৭ মার্চ সমাপ্ত হবে। এছাড়া আজ দিনটি উপলক্ষে জেলাস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে দিনের সুবিধাজনক সময়ে স্বরচিত ছড়া, কবিতা এবং প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বাদ জোহর এবং সুবিধাজনক সময়ে জেলার সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
১৫ views