বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বদলে গেছে নওগাঁর চিত্র,তাইতো এই এলাকার জনসাধারণ বলে হাসিনার উন্নয়নে হাসছে নওগাঁ,খুশি এ-ই এলাকার সাধারণ মানুষ। নওগাঁর এগারোটি উপজেলার রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট,স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা,অসহায়দের বাসস্থান নির্মাণ থেকে শুরু শিক্ষা,স্বাস্থ্য,বিনোদন ও মানুষের নানাবিধ কর্মকাণ্ডের উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে নওগাঁর সাধারণ জনগণ।
নওগাঁর এমপি,খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, শেখ হাসিনা কাঁদলে দেশ কাঁদে। শেখ হাসিনা হাসলে দেশের মানুষ হাসে। তার ঐকান্তিক চেষ্টায় হাসি ফুটেছে বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে। শিক্ষা-দীক্ষা, রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন ঘটেছে দেশে,উন্নয়ন ঘটেছে নওগাঁয়।
শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে নওগাঁয়, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাজ শুরু হয়েছে,একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব পাশ হয়েছে,যা শীঘ্রই প্রতিষ্ঠিত হবে।
যোগাযোগ ব্যবস্থায় গত এক বছরে নওগাঁয় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সড়ক পথে দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতের সুবিধায় নির্মিত হয়েছে প্রশস্ত পাকা সড়ক। যোগাযোগে ভোগান্তি দূর করতে এমন উদ্যোগ নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে নওগাঁবাসী।
জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যসূত্র মতে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে জেলার বদলগাছী-পাহাড়পুর ও জয়পুরহাট সড়কে ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ১৫ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত ও সংস্কার করা হয়েছে।
রিজোনাল প্রকল্প নওগাঁ থেকে রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের ৭৪ কিলোমিটার সড়কে ৪২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রশস্ত করা হয়। নিয়ামতপুর-গোদাগাড়ী ও নাচোলে সাড়ে ১৭ কিলোমিটার সড়কে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ হয়। ধামইরহাট থেকে মঙ্গলবাড়ী পর্যন্ত ১১ কিলোমিটারে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয়।
সূত্র মতে আরো জানা গেছে, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থ বছরে আরো চারটি কাজ চলমান রয়েছে। এরমধ্যে ৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে রানীনগর-আবাদপুকুর ও কালীগঞ্জে ২২ দশমিক ২২ কিলোমিটার সড়ক, মান্দা-বাগমারা ও আত্রাইয়ে ৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫ কিলোমিটার সড়ক, নিয়ামতপুর-শিবপুর ও পোরশায় ৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৩৬ কিলোমিটার, রানীনগর-আত্রাই ও নাটোরে ২০১ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ২৫ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার চলমান রয়েছে।
নওগাঁর সাধারণ মানুষেরা বলেন, নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত হওয়ায় নওগাঁবাসীর জন্য একটি বড় পাওয়া। এ জেলায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হামিদুল হক জানান, মূল মহাসড়কের সঙ্গে পার্শ্ববতী জেলাগুলোর সংযোগ থাকে। সেসব মহাসড়কের যথাযথ মান ও প্রশস্তকরণের অংশ হিসেবে দেশের প্রতিটি বিভাগে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সব সড়ক প্রশস্ত ও সংস্কার করা হলে এ অঞ্চলের মানুষ আর্থসামাজিকভাবে উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এদিকে সাধারণ অসহায় মানুষের আশ্রয় দেয়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নওগাঁয় ১ হাজার ৫৬টি গৃহহীন পরিবারের মুখে হাসি ফুটতে যাচ্ছে।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় উপহার পাচ্ছেন নওগাঁয় ১১টি উপজেলায় ১ হাজার ৫৬টি অসহায় পরিবার। দেওয়া হবে তাদের সেমিপাকা এসব ঘর।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যেই এসব ঘর জমিসহ সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। তবে উপকারভোগীদের এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। মাঠ পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এসব ঘর করতে সবমিলিয়ে খরচ হচ্ছে ১৮ কোটি ৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। ঘরে রয়েছে দুটি কক্ষ, একটি রান্না ঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সদরে ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১০টি গৃহহীন পরিবারের জন্যে দ্রুত গতিতে ঘর নির্মাণ চলছে। নির্ধারিত দিনের মধ্যে কাজ শেষ হস্তান্তর করা সম্ভব হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা ইমাম উদ্দিন মামুন বলেন, জমি আছে কিন্তু বাড়ি করার মতো আর্থিক অবস্থানে ছিলেন না তাদের মধ্যে এই ঘরগুলো উপহার দেওয়া হবে। এসকল পরিবারের মানুষগুলো দিন আনে দিন খাওয়া মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এসকল ঘর পেয়ে গৃহহীন পরিবারগুলো অনেক উপকৃত হবেন।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় পরিবারের জন্য উপহার স্বরূপ এ সকল আশ্রয়স্থল করে দিচ্ছেন। এই কাজ বাস্তবায়নে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা সকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
আগামী ১০ জানুয়ারি ২০২১ ইং তারিখের মধ্যে শেষ হবে এসব বাড়ি নির্মাণের কাজ। এরপরই হস্তান্তর করা এসব বাড়ি।
এছাড়াও নওগাঁয় বিভিন্ন স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসার আধুনিক মানের ভবন বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার গতিকে যেমন বাড়িয়ে দিয়েছেন,তেমনই দৃষ্টিনন্দন এসব ভবন শিক্ষাখাতকে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে আধুনিকতার শীর্ষ চূড়ায়।
পর্যটন এলাকা তথা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের জেলা নওগাঁর ঐতিহাসিক পাহাড়পুর,ধীবর দিঘী,আলতাদিঘী,পতিসর রবীন্দ্র কুঠিবাড়ীসহ বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের পরিচর্যা রক্ষণাবেক্ষণ ও আধুনিকায়নের কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সরকার।
সরকারের নানামুখী ঋণ সুবিধার কারণে যুবকেরা নিজ উদ্যোগে আত্মকর্মসংস্থানের পথ তৈরি করে নিয়েছেন,হয়েছেন স্বাবলম্বী।
নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার ঐতিহাসিক পাহাড়পুর গ্রামের এক তরুণ জনাব,শাহরিয়ার আহমেদ শুভ বলেন,এ-ই সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ব্যপক উন্নয়নের ফলে আমাদের মত তরুণেরা আউট সোর্সিং মত ইনকামের একটা সাইট তৈরি করে নিতে পেরেছে।
সেহেতু বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
শুধু তরুণ আর যুবকেরা নয়,নওগাঁয় নানাবিধ উন্নয়নের ফলে উপকৃত হয়েছেন,বৃদ্ধ,নারীপুরুষ, বিধবা,দুঃস্থ,অসহায়,প্রতিবন্ধীসহ সকল প্রকার ভাতাভুগীরা।
তাই সকল শ্রেণির মানুষের চাওয়া এ-ই উন্নয়নের গতি যেন চলমান থাকে,সাধারণ গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের মুখের নতুন জাগ্রত অম্লান হাসি যেন আর কখনো ম্লান না হয়।