হাবিবুর রহমান হাবিব,ঘাটাইল(টাংগাইল)প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
নারীরা আর চুপটি মেরে ঘরে বসে থাকতে রাজি নন। কোনোভাবে স্বাবলম্বী হতে চান বর্তমান সময়ের আধুনিক নারীরা। নারীদের কর্মক্ষেত্রে অনলাইন এখন বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে শুধু ঘরে বসে নারীর অনেক কর্মসংস্থানও তৈরি হয়েছে। তরুণরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করছেন এবং এগিয়ে যাচ্ছেন। নারীদের প্রতিষ্ঠিত হয়ে দাঁড়ানোর খুব ভালো মাধ্যম হতে পারে এই অনলাইন ব্যবসা। সেই ধারণা থেকেই বলছি- টাংগাইলের ঘাটাইলে অনলাইন ব্যবসার সফল নারী সাদিকুন নাহার শান্তার গল্প।ওমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) নামক একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০২০ সালের ৭ আগস্ট উদ্যোক্তা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর শান্তা মাত্র ৪০০ টাকা পুঁজি নিয়ে ফেইসবুকে চরকা নামে একটি পেইজ খুলে অনলাইন ব্যবসা শুরু করেন। সে তার ফেইসবুক পেইজ ও ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করেন। তার বিক্রির পরিমাণ বাড়তে থাকে Women and E-commerce Forum (WE) নামক একটি ফেইসবুক গ্রুপের মাধ্যমে। শান্তার বিক্রি করা অনেক পণ্যই ওমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এবং সেল এন্ড রিভিউ জোন গ্রুপের মাধ্যমে বিক্রি হয়। শান্তার সফল হওয়ার পেছনে এ দুটি গ্রুপের অবদান অনেক।অনলাইনে তার বিক্রি করা পণ্যগুলো হলো- টাঙ্গাইলের শাড়ী, থ্রি-পিস, প্রাকৃতিক মৌচাকের মধু, কুমিল্লার বিখ্যাত খাদি পাঞ্জাবী, বোরকা, হিজাব, খিমার সেট, নকশিকাঁথা, রাজশাহীর আম, দেশী আমের টক -মিষ্টি- ঝাল আমসত্ত্ব, ইত্যাদি।
তার সিগনেচার পণ্য হলো- নকশিকাঁথা আর আমসত্ত্ব।২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তার ব্যবসার বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়। শান্তা গত সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে তার ফেসবুক পেইজ ও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত সর্বমোট বিক্রি করেছেন ১০৪,৪০০ টাকা( এক লক্ষ চার হাজার চারশত টাকা)। সফল উদ্যোক্তা সাদিকুন নাহার শান্তার জন্ম টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের নলমা গ্রামে। সে টাঙ্গাইল শহরের কুমুদিনী সরকারি কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে গণিত বিভাগে অধ্যয়নরত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাদিকুন নাহার শান্তা বলেন, ২০২০ সালের আগস্টে ওমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) নামক একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি অনলাইন উদ্যোক্তা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। এজন্য আমি ফেইসবুকে চরকা নামে একটা পেইজ খুলে মাত্র ৪০০ টাকা পুঁজি নিয়ে বেবি নকশিকাঁথা দিয়ে বিজনেস শুরু করি। আস্তে আস্তে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্য যোগ করি। ভেজালের এই যুগে নির্ভেজাল পণ্য সবার ঘরে পৌঁছে দিতে পেরে ভালো লাগছে। আমি মনে করি শিক্ষিত জনশক্তিকে এভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বেকারত্ব হ্রাস কেবল মাত্র সময়ের দাবী। তিনি আরও বলেন আমার অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার পেছনে ওমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এবং সেল এন্ড রিভিউ জোন গ্রুপের অবদান অনেক। এ সময় সে এ দুটি গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরও জানান, এখন আমার লক্ষ্য ভবিষ্যতে সফল একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা, এবং আমার মাধ্যমে অনেকের যাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা।
৬০ views