বিধান মন্ডল, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরে লাইসেন্স বিহীন কোন বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থাকবে না। আগামী ১৫ অক্টোবর ২০২০ এর মধ্যে যদি সকল ক্লিনিক, হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন না করে তাহলে লাইসেন্স বিহীন সকল ক্লিনিক বন্ধ করে দিবেন।
গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১০ টায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সভাকক্ষে ফরিদপুরে কোভিড-১৯ ও আরটি – পিসিআর ল্যাব সংশ্লিষ্ট পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ফরিদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা অধিশাখার যুগ্ম সচিব উম্মে সালমা তানজিয়া।
প্রধান অতিথি এ সময় বলেন, হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা। তিনি দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের উদাহরণ দিয়ে বলেন আপনারা ইচ্ছা করলে একেকজন ডাক্তার একেকজন পরিচ্ছন্ন কর্মী স্পন্সর করতে পারেন। অল্প কিছু টাকা খরচ করলে এই পরিচ্ছন্ন কর্মী স্পন্সর করা সম্ভব। যাতেকরে হাসপাতাল সবসময় পরিচ্ছন্ন থাকে। আর হাসপাতালের দালালদের দৌরাত্ম্য রয়েছে খুব। দালাল মুক্ত করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। জনগণ যাতে সরকারি হাসপাতাল থেকে মানসম্মত সেবা পায় সে লক্ষে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ক্রমান্বয়ে দেশের প্রত্যেকটি হাসপাতালকে অত্যাধুনিক ভাবে সাজানো হবে। দেশের ৬০ ভাগ স্বাস্থ্যসেবা বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালগুলো দিয়ে থাকে। দ্রুতই এই আবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। যেখানে জনগণ প্রাইভেট ক্লিনিক নয় বরং সরকারি হাসপাতালের প্রতি আস্থা রাখবে।
সভায় প্রধান অতিথি প্রত্যেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নিকট হতে তাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সমস্যা শুনেন এবং তা দূরীকরণে পরামর্শ দেন। ফরিদপুরের স্বাস্থ্যসেবাকে আরও উন্নত করতে প্রত্যেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জেলা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডাঃ ফরিদ হোসেন মিয়া (পরিচালক হাসপাতাল ও ক্লিনিক)। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আসলাম মোল্লা, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ফমেক হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ সাইফুর রহমান, ফমেকের উপাধ্যক্ষ ডাঃ দিলরুবা জেবা, হাসপাতালের উপ পরিচালক ডাঃ আফজাল হোসেন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ছিদ্দিকুর রহমানসহ উপজেলা পর্যায়ের সকল স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাগণ।
সভা শেষে প্রধান অতিথি কোভিড-১৯ এর টেস্ট ল্যাব (পিসিআর) পরিদর্শন করেন।