মো. রুবেল আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি (টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে হিন্দু শিক্ষককে ৩০দিনের মধ্যে বিয়ের নোটিশ দিয়ে আলোচনায় আসা সাজানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত অসাদাচরন, আর্থিক অনিয়মসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তার তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ঔ প্রধান শিক্ষককে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা (মা-২) মো. তরিকুল ইসলাম সাক্ষরিত এক চিঠি দৈনিক বাংলার হাতে এসেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর ১৮.১ (খ) ধারা মোতাবেক কেন আপনার বেতন-ভাতা বন্ধ/স্থগিত করা হবে না তার জবাব পত্র জারীর ০৭(সাত) কর্মদিবসের মধ্যে প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
সহকারী শিক্ষক রনি প্রতাপ পাল জানান, আমরা ইতিমধ্যেই ডিডি স্কুল স্যারের মাধ্যমে এই পত্রের কথা জানতে পেরেছি এবং পত্রের একটি অনুলিপি আমার কাছে আছে।
প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোনো চিঠি আমি এখনো পাইনি। যদি চিঠি পাই তবে চিঠি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দার বলেন, চিঠির বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আমি এখানে নতুন এসেছি, ঐ স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষককে বিয়ের নোটিশ দেওয়া হয়েছিলো আমি শুধু এইটুকু জানি।