আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী প্রতিনিধিঃ- ফেনীর সোনাগাজীর ১নং চরমজলিশ পুর ইউনিয়নের চান্দলা মনিরুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসায় আরাফাত হোসেন (১০) নামের এক শিক্ষার্থীকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে অবিনব কায়দায় বলৎকার করার অভিযোগ উঠেছে ঐ মাূরাসার এক শিক্ষক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন যাবৎ ছাত্রটিকে যৌননির্যাতন করে আসছে বলে জানা যায় মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষক নুরনবী। ৯ (আগষ্ট) সন্ধ্যায় শিক্ষক নুরনবীকে না পেয়ে উক্ত মাদ্রাসার মুহতামিম গোলাম রহমানকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।আরাফাতের মা নুর জাহান বেগম জানান, আমার ছেলেকে চান্দলা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করার জন্য ভর্তী করি। যাতায়াতে দুরত্ব হওয়ায় আবাসিকে তাকে থাকতে দিই।দীর্ঘদিন ধরে আমার ছেলেকে নুরনবী যৌননির্যাতন করছে বিষয়টি আমরা জানতামনা। গত কয়েকদিন আগে কোন কারন ছাড়া আমার ছেলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে আসে। আমি তাকে মারধর করে আবার মাদ্রাসায় দিয়ে আসি, আমি বাড়িতে আসার কিছুক্ষণ পর আমার ছেলে আবার বাড়িতে চলে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে ছেলে মাদ্রাসায় যেতে অস্বীকার করে। কারন জানতে চাইলে সে কাঁদতে কাঁদতে নুরনবী কতৃক যৌন নির্যাতনের বিষয়টি বিস্তারিত সে খুলে বলে যে, তার মলত্যাগ করতে কষ্ট হয়, ও মুখে ইনফেকশন হওয়ার কথা মাকে জানায়। আরাফাতের সাথে কথা বললে সে জানায়, হুজুরের গোপনাঙ্গ তার মুখে ডুকিয়ে জোর করে চোষাতে বাধ্য করতো, পায়ুপথে বলৎকার করতো, কাউকে বললে তাকে প্রানে মেরে পেলার হুমকি দিতো। আরাফাতের বাবা জাকির হোসেন জানান, এই বিষয়ে আমি মাদ্রাসার মুহতামিম গোলাম রহমানের কাছে বিচার দিয়েছি, তিনি বিচার না করে অপরাধীকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন। এই বিষয়ে নুরনবীর বক্তব্য জানতে চাইলে নুরনবী পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।নুরনবীর বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার সোনাইপোলে। এই ঘটনায় বাদী হয়ে আরাফাতের মা সোনাগাজী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসার মুহতামিম গোলাম রহমানকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।