দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট:এতদ্বারা সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ দুপুর আনুমানিক ১:০০ ঘটিকায়, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল, উত্তরা, ঢাকা ১২৩০, ক্যাম্পাসে অত্র প্রতিষ্ঠান হতে অসদাচরণের দায়ে চাকরি থেকে বরখাস্তকৃত ডাঃ দ্বীনা এ.এস. হুসাইন, ডাঃ মোঃ রায়হান আহমেদ, ডাঃ আনজিরা ফারাহ লিনজা, কে এম গোলাম মাওলা এবং ডাঃ রেজাউল হক জুয়েল সহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, শতাধিক বহিরাগত ব্যক্তি সহ বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে কর্তব্যরত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে, যাতে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হয় এবং কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়। তদুপরি তারা বহিরাগত ব্যক্তির সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানের সিইও, জিএম সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগনকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে, কর্মকর্তাগনের প্রাতিষ্ঠানিক মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে সাক্ষর করতে বাধ্য করে। কলেজ এবং হাসপাতালের প্রশাসনিক শাখায় ভাংচুর করা হয় এবং আইটি বিভাগ হতে “সিসিটিভি সার্ভিল্যান্স সিস্টেম” অপসারন করা হয়।
উল্লেখ্য যে, বিগত ০৫ অগাস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে ডাঃ মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস বেআইনি ভাবে নিজেকে অত্র মেডিকেল কলেজ এর চেয়ারম্যান, গভর্নিং বড়ি, দাবী করেন, যা পরবর্তীতে মহামান্য আদালত সর্বশেষ ১১ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ শুনানির মাধ্যমে নাকচ করে দেন। আইনি প্রক্রিয়ায় হেরে গিয়ে, তিনি নিজের অনুগত জনবলের মাধ্যমে জোর পূর্বক অত্র প্রতিষ্ঠান দখলের চেষ্টা করেন, এবং দখলের চেষ্টাকালে প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি বিনষ্ট করা সহ কর্মকর্তাগনকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল, শহীদ মনসুর আলী ট্রাস্ট এর অধীনে পরিচালিত অলাভজনক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। উক্ত প্রতিষ্ঠানে বহিরাগত শক্তি দ্বারা এরূপ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ও জনবলের ক্ষতিসাধন অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং গর্হিত অপরাধ। শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের সকল শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের পক্ষ থেকে আমরা এই ঘৃণিত কর্মকা-ের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং এর সুবিচারের দাবী জানাচ্ছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]