কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলা নববর্ষ অসাম্প্রদায়িকতা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিচায়ক। এ দিনটিতে সে চেতনাকে আরও শাণিত করতে হবে। আমরা চাই, বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে আরও মাথা উঁচু করে চলুক। সেজন্য, অসাম্প্রদায়িকতা ও ভ্রাতৃত্ববোধকে আরো শাণিত করে বাংলাদেশের সম্মান ও মর্যাদাকে আরও উন্নীত করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে নেদারল্যান্ডে আন্তর্জাতিক হর্টিকালচার এক্সিবিশনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বাংলা নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম। এসময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, হাসানুজ্জামান কল্লোল, ওয়াহিদা আক্তার, বলাইকৃষ্ণ হাজরাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, নেদারল্যাণ্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ, মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থাপ্রধান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নেদারল্যান্ডের আলমেয়ারে আন্তর্জাতিক হর্টিকালচার এক্সিবিশনে (ফ্লোরিয়েড এক্সপো-২০২২, ঋষড়ৎরধফব ঊীঢ়ড়) সরকারিভাবে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ। ৬মাস ব্যাপী এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার, উদ্বোধন হয়েছে গতকাল বুধবার। বাংলাদেশসহ প্রায় ৩৩টি দেশ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক হর্টিকালচার এক্সিবিশন প্রতি দশকে একবার নেদারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়। এবার বসেছে প্রদর্শনীর ৭ম আসর। এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘সবুজ নগর গড়ে তোলা’ (মৎড়রিহম মৎববহ পরঃরবং)। এবারের প্রদর্শনীটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ ফ্লোরিয়েড এক্সপোর হিসেবে ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর ৬৮% মানুষ নগরে বাস করবে। নগরকে কীভাবে আরও সবুজ, সুন্দর ও বসবাসযোগ্য করা যাবে, সে বিষয়ে উদ্ভাবন ও গ্রিন সল্যুশনস এই এক্সপোতে প্রদর্শিত হবে।
এক্সপোতে বাংলাদেশ নিজেদের উদ্ভাবন ও গ্রিন সল্যুশনস বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরবে। পাশাপাশি অন্যান্য দেশের প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও জ্ঞান-অভিজ্ঞতা জানার ও তা বিনিময়ের সুযোগ তৈরি হবে।
এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ এক্সিবিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মর্যাদা ও সম্মান আরও নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে।
প্রদর্শনীর ১ম দিনে আজ বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। নববর্ষ উপলক্ষ্যে আগত দর্শনার্থীদেরকে উষ্ণ অর্র্ভ্যথনা প্রদান করা হয়।