চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে যেসব সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে, সেগুলো হলো এমন কর রাজস্বব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের জিডিপির দশমিক ৫ শতাংশ অতিরিক্ত কর আদায় হয়। আইএমএফ মনে করে, পৃথিবীর যেসব দেশে কর-জিডিপি অনুপাত সবচেয়ে কম, বাংলাদেশ তার একটি। কর আদায় কম হওয়ায় প্রয়োজনীয় খাতে যথেষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ করা যায় না। তাই আগামী জুনের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে আইএমএফ। আগামী বাজেটেই এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করতে হবে। আইএমএফ বলছে, বাড়তি অর্থ পাওয়া গেলে অগ্রাধিকারমূলক খাতগুলোতে বাংলাদেশ আরও বেশি খরচ করতে পারবে।
এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক এবং ভ্যাট বিভাগে কমপ্লায়েন্স ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিট গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। আর এটি করতে হবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে। মূলত রাজস্ব আদায় বাড়াতে এ পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। দেশজ উৎস থেকে যে পরিমাণ অর্থ বাজেটঘাটতি পূরণে ব্যবহার হয়, অর্থাৎ সরকার যত ঋণ করে, তার এক-চতুর্থাংশের কম নিতে হবে সঞ্চয়পত্র থেকে। সে লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়কে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সরকার প্রতিবছর বাজেটে সঞ্চয়পত্রের সুদ পরিশোধ বাবদ বড় অঙ্কের বরাদ্দ রাখে। আইএমএফ চায়, সরকার সঞ্চয়পত্রের সুদ খাতে খরচ কমিয়ে অগ্রাধিকার খাতে আরও বেশি অর্থ ব্যয় করুক। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারকে সঞ্চয়পত্র থেকে কম ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে হবে।
আইএমএফ আরও শর্ত দিয়েছে, পেট্রোলিয়াম–জাতীয় পণ্যের দাম একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর সমন্বয়ের একটি স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার। ডিসেম্বরের মধ্যে এ কাজটি করতে হবে। এ প্রস্তাব করা হয়েছে মূলত জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমাতে। এ পরামর্শের কারণও অভিন্ন—অগ্রাধিকারমূলক খাতের জন্য ব্যয় বাড়ানো।