স্থগিত হওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৪তম আসরের অন্যতম চমক ছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের তরুণ বাঁহাতি পেসার চেতন সাকারিয়া। রাজস্থানের জার্সি গায়ে নতুন বল হাতে নিয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী এ পেসার।
এবারই প্রথমবারের মতো আইপিএল খেলার সুযোগ পেয়েছেন সাকারিয়া। নিলামে তাকে ১ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কিনেছে রাজস্থান। করোনাভাইরাসের কারণে এবারের আসর স্থগিত হয়ে যাওয়ায় খুশি হতে পারেননি সৌরাষ্ট্রের এ পেসার। কেননা আইপিএল থেকে তার উপার্জিত অর্থ দিয়েই চলছে বাবার চিকিৎসা।
তবে টুর্নামেন্ট স্থগিত হলেও রাজস্থানের কাছে আংশিক পারিশ্রমিক পেয়েছেন সাকারিয়া। যা দিয়ে চালিয়ে নিচ্ছেন করোনা আক্রান্ত বাবার চিকিৎসার খরচ। তিনি আইপিএলে থাকা অবস্থায়ই জানতে পেরেছিলেন বাবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর। এবার খেলা স্থগিত হওয়ায় নিজেই কাছ থেকে করাচ্ছেন চিকিৎসা।
জীবনের অন্যতম কঠিন সময় কাটাচ্ছেন জানিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাকারিয়া বলেছেন, ‘আমি ভাগ্যবান যে, কয়েকদিন আগেই রাজস্থান রয়্যালস আমাকে আংশিক পারিশ্রমিক পরিশোধ করেছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে সেটা বাড়িতে দিয়েছি। সবচেয়ে কঠিন সময়ে এটি আমার পরিবারকে সাহায্য করছে।’
করোনার প্রাদুর্ভাবে আইপিএল বন্ধ হলেও, নিজে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বন্ধ হওয়ায় মাঠে খেলার পক্ষেই ছিলেন সাকারিয়া। আইপিএল থেকে পাওয়া টাকা দিয়েই বাবার উন্নত চিকিৎসা করাতে পারবেন বলে জানালেন তিনি। এ টুর্নামেন্ট দিয়েই জীবন পরিবর্তনের আশা দেখেছিলেন বাঁহাতি এ পেসার।
সাকারিয়ার ভাষ্য, ‘মানুষ বলছে, আইপিএল বন্ধ করুন। আমি তাদের একটা কথা বলতে, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আমি। ক্রিকেটই আমার আয়ের একমাত্র উৎস। আইপিএল থেকে অর্জিত অর্থ দিয়েই আমি আমার বাবাকে উন্নতি চিকিৎসা করাতে পারব।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘যদি এক মাস আইপিএল না হতো, আমার জন্য সবকিছু অনেক কঠিন হয়ে পড়তো। আমি দরিদ্র পরিবারের সন্তান। আমার বাবা টেম্পো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছেন সারাজীবন। শুধুমাত্র আইপিএলের কারণে আমার জীবন পরিবর্তনের আশা জেগেছিল।’
আইপিএল স্থগিত হওয়ার আগে রাজস্থানের হয়ে সাত ম্যাচে ৭টি উইকেট শিকার করেছেন সাকারিয়া। এর মধ্যে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে লোকেশ রাহুল, মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও ঝাই রিচার্ডসনের উইকেট নিয়েছেন তিনি। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ফিরিয়েছেন সুরেশ রায়না, মহেন্দ্র সিং ধোনি ও আম্বাতি রাইডুকে।