উইন্ডিজের দেওয়া স্বল্প রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন লিটন দাস ও তামিম ইকবাল। কিন্তু দলীয় ৩০ রানে আকিল হোসেইনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নিয়েছেন ডানহাতি লিটন।
যদিও রিভিও নিয়েছিলন তিনি। কিন্তু তাতেও মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৪ বলে ৪ চারে ২২ রান করেন লিটন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩১ রান।
এর আগে সাকিব-মিরাজের ঘূর্ণিতে দিশেহারা উইন্ডিজ অলআউট হয় মাত্র ১৪৮ রানে। মোস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদও রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ পর্যন্ত দলীয় তিন অঙ্ক পেরোনো রান পেয়েছে লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কল্যাণে। নয়ত শুরু থেকে বাংলাদেশের দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান যেভাবে ছোবল দেওয়া শুরু করেছিলেন তাতে শ’য়ের ঘরে পৌঁছানোর আগে গুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল ক্যারিবিয়ানদের।
মাত্র ৮৮ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসেছিল উইন্ডিজ। সেখান থেকে দলকে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছে দেন দুই লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান রভমেন পাওয়েল (৪১) ও আলঝেরি জোসেফের (১৭) দলীয় সর্বোচ্চ ৩২ রানের জুটি। তবে শেষ পর্যন্ত উইন্ডিজ থামে ৪৩.৪ ওভারে ১৪৮ রানে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে টানা দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে দেড়শ’র নিচে অলআউট করল টাইগাররা।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে উইন্ডিজ। ওপেনার সুনীল আমব্রিসকে (৬) দিয়ে শুরুটা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর জোড়া আঘাত হানেন মিরাজ। ওয়ানডেতে অভিষেক হওয়া ওপেনার কিয়র্ন ওটলেকে (২৪) তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ বানানোর পর উইকেটরক্ষক জশুয়া ডি সিলভাকে (৫) বোল্ড করেন তিনি।
নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই আন্দ্রে ম্যাকার্থিকে (৩) বোল্ড করেন সাকিব। আগের ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন তিনি। সাকিব নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদকে (১১) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে।
মোহাম্মদের বিদায়ের আগে উইন্ডিজকে আরও বিপদের মুখে ঠেলে রানের খাতা খোলার আগে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আগের ম্যাচে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কাইল মায়ার্স। তবে চাপের মুখে পাল্টা আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করেন এনক্রুমাহ বোনার (২০)। অবশ্য তাকে বোল্ড করে বেশি সুযোগ দেননি হাসান মাহমুদ। আটে ব্যাটিংয়ে নেমে জোসেফকে নিয়ে ধীর-স্থির ব্যাটিংয়ে দলকে তিন অঙ্কের ঘরে নিয়ে যান পাওয়েল।
জোসেফ ফেরার পর শেষ ব্যাটসম্যান আকিল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ফিফটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন পাওয়েল। তবে নিজের শেষ ওভার করতে এসে চতুর্থ বলেই পাওয়েলকে থামান মিরাজ। আকিল অপরাজিত থাকেন ব্যক্তিগত ৭ রানে।
৯.৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং ফিগার। ২টি করে উইকেট ভাগাভাগি করেছেন সাকিব ও মোস্তাফিজ। বাকি উইকেট হাসান মাহমুদের।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]