অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় এনে তাঁদের বৃদ্ধকালীন সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জাতীয়ভাবে একটি সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের অঙ্গীকার করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে সরকারের প্রণীত জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্রে একটি ব্যাপকভিত্তিক সমন্বিত অংশগ্রহণমূলক পেনশনব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাব করা হয়েছিল।দেশের শ্রমবাজারের ৮৫ শতাংশ জনবল অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত উল্লেখ করে মুস্তফা কামাল বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক কোনো কাঠামো না থাকায় বৃদ্ধকালে তাঁদের জীবনযাপনে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা আছে। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে দেশে ষাটোর্ধ্ব জনসংখ্যা ছিল ১ কোটি ২০ লাখ। এই সংখ্যা ২০৪১ সালে ৩ কোটি ১০ লাখ হবে বলে তাঁর অনুমান। তিনি বলেন, গড় আয়ু বৃদ্ধির কারণে ধীরে ধীরে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তাঁদের নিরাপত্তা ক্রমান্বয়ে হুমকির দিকে ধাবিত হচ্ছে। এসব কারণেই সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।অর্থমন্ত্রী জানান, সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা চালু করার আগে এ-সংক্রান্ত আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে, যা চলতি বছরই বিল আকারে সংসদে তোলা হবে।আ হ ম মুস্তফা কামাল গত মে মাসে বলেছিলেন, আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যেই ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা চালু করা হবে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্যও থাকছে একই সুযোগ।