একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি আজ ৩০ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উদযাপন করবে।
দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ইতিহাসে একটি বিজয়ের মাইলফলক। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অশুভ শক্তি, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের আস্ফালন আর সহিংস রাজনীতির অন্ধকার ছায়া কাটিয়ে গণতন্ত্রের নবতর অভিযাত্রায় অগ্রসর হয় বাংলাদেশ। এ কারণে ৩০ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পক্ষে নৌকা প্রতীকে গণরায় প্রদান করে। স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী, ১৫ আগস্ট, জেলহত্যা ও ২১ আগস্টের খুনি এবং সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে দেশের জনগণ।
বিএনপি তাদের চিরাচরিত ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারাবাহিকতায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে এবং জনগণের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা ও নির্বাচনকেন্দ্রিক উৎসব-আমেজে স্থবিরতা সৃষ্টি করতে অপতৎরপতা চালায়।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এবং পরে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বিনষ্টে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট আগুন সন্ত্রাস চালায় ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসে শত শত সাধারণ মানুষ নিহত হয়। আগুন সন্ত্রাসে দগ্ধ হয়ে এখনও অসংখ্য মানুষ দুর্বিষহ যন্ত্রণা ভোগ করছে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্ভাসিত সমাজ বিনির্মাণ করতে বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন ধারাবাহিক অগ্রগতির মধ্য দিয়ে কাক্সিক্ষত অভীষ্ঠে এগিয়ে চলেছে, তখনই একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে ব্যাহত করার নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আজ বেলা ১১টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। বিশেষ অতিথি থাকবেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।
বিকাল ৩টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি থাকবেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি, ডা. দীপু মণি এমপি ও ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
কর্মসূচিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা শাখাগুলোতে ৩০ ডিসেম্বর অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ঘোষিত কর্মসূচি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে যথাযথভাবে পালনের জন্য দেশের সব জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে গণতন্ত্রের বিজয়ের এই ঐতিহাসিক দিনটি যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে উদযাপনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]