সারাদেশে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন, যা চলবে আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। শিল্প-কারখানা খোলা থাকলেও সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে। চলছে না গণপরিহনও। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে জনসাধারণের চলাচলে। পুলিশ অ্যাপ থেকে ‘মুভমেন্ট পাস’ নিয়ে বের হতে হচ্ছে বাইরে। বের হলেই পড়তে হচ্ছে পুলিশি চেকপোস্টে। পাস দেখাতে ব্যর্থ হলে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে সরকারের ঘোষিত কঠোর লকডাউনে ব্যাংক বন্ধের ঘোষণা দেয়া হলেও সব মহলের সমালোচনায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়েছে। শিল্প ও ব্যবসার কথা মাথায় রেখে সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রাখা হয়েছে। তবে ব্যাংক খোলা থাকলেও সেখানে গ্রাহকের উপস্থিতি নেই। একই অবস্থা দেখা গেছে ব্যাংকের এটিএম বুথগুলোতেও। মোবাইলভিত্তিক লেনদেন ছোট দোকানগুলোর অধিকাংশ বন্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সর্বাত্মক লকডাউনে ব্যাংক বন্ধ থাকবে এমন শঙ্কায় আগেই টাকা উত্তোলন করেছেন গ্রাহকরা। এ ছাড়া কোভিড-১৯ ভীতি ও মুভমেন্ট পাসের ঝামেলা এড়াতে সাধারণ গ্রাহক ব্যাংকমুখী হচ্ছেন না।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন ব্যাংক, এটিএম বুথ এবং মোবাইলভিত্তিক লেনদেনের দোকান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এর আগে লকডাউনে বিধিনিষেধের মধ্যে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। নির্দেশনার আলোকে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জারি করা সার্কুলার বলা হয়, ‘সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। তবে অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যাবলি সম্পন্ন করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।’
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]