মুম্বাই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরীতে মাদককাণ্ডে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) জালে আরও চার মাদকপাচারকারী। বুধবার রাতে মুম্বাইয়ে আরিয়ান খান ও আরবাজ মার্চেন্টের বাড়ির কাছ থেকে তাদের গ্রেফতার করে এনসিবি। তাদের মধ্যে একজন বিদেশি মাদকপাচারকারী। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে মাদক।
বিদেশি মাদকপাচারকারীকে গ্রেফতারের পরই মাদককাণ্ডে এসেছে নতুন মোড়। জিজ্ঞাসাবাদের কারণে আরও কয়েকদিন আরিয়ানকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে এনসিবি। ইতোমধ্যেই আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন আরবাজ মার্চেন্ট। বুধবার থেকে শোনা গিয়েছিল যে বৃহস্পতিবার মাদককাণ্ডে জামিন পেতে পারেন আরিয়ান খান।
বুধবার রাতে এ মামলায় নতুন মোড় আসার পরই বদলাচ্ছে অনেক সিদ্ধান্ত। ইতোমধ্যেই ওই বিদেশি পাচারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে এনসিবি।
গত সোমবার আদালতের কাছে জিজ্ঞাসাবাদের কারণেই তিন অভিযুক্তকে ফের আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত হেফাজতে রাখার আবেদন জানায় এনসিবি। এদিন এসিবির থেকে জানানো হয়েছিল যে তদন্তের জন্যই আরিয়ানসহ তিনজনকে হেফাজতে রাখা জরুরি। আরিয়ান খানের ফোন থেকে তার বিরুদ্ধে জোরালো প্রামাণ্য নথিও পাওয়া গেছে বলে আদালতে জানায় এনসিবি।
আরিয়ানদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের যোগ রয়েছে বলেও দাবি করে এনসিবি। পাশাপাশি এদিন আরিয়ানের জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী সতীশ। আদালতে আরিয়ানের আইনজীবী জানান, এই পার্টিতে যাওয়ার টিকিটও ছিল না আরিয়ানের কাছে, তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এমনকি আরিয়ানের কাছে কোনো মাদকদ্রব্য ছিল না। তাই তাকে গ্রেফতার করাই ভুল।