ডেস্ক রিপোর্ট দৈরিক শিরোমণিঃ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের ১১দফা দাবী বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক মনগড়া কর্মচারী নিয়োগ ও পদোন্নতির জন্য অভিন্ননীতিমালা প্রনয়ন করার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আন্ত.বিশ^বিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত ১১দফা বাস্তবায়নের দাবীতে দেশের সকল পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ে মানববন্ধন কর্মসুচির অংশহিসাবে কুয়েট ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। গতকাল ২৯জুন বেলা ১২টা থেকে ঘন্টা ব্যাপী কুয়েট কর্মচারী সমিতি বিশ^বিদ্যালয়ের দুর্বার বাংলা চত্বরে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেন। কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. হাসিব সরদারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সুবির দত্ত, যুগ্ন সম্পাদক মো. ইমরান আলী রনি, সদস্য মো. আসাদ মোড়ল, কুয়েট কর্মচারী সমিতির মো. পারভেজ আলম, মো. ইয়াছিন আলী, মো. মামুনুর রশিদ জুয়্লে, মো. ইমরুল ইসলাম, অলিয়ার রহমান রাজু, মো. এরশাদ আলী, হাবিবুর রহমান, হাফিজুর রহমান, মিঠুন কুমার দাস, হাফিজ. মো. তরিকুর ইসলাম, হাফিজুর রহমান, রেজাউল মোড়ল, মো. আলামিন, জুবায়ের আহমেদ লিটু, সাইফুল ইসলাম,নুরুজ্জামান, শাহ মো. হুসাইন, বাবুল হোসেন, হাবিবুর রহমান, আল মুনছুর, সবুজ কাজী, মো. হাসানসহ সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধনে আন্ত. বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত স্থায়ী বেতন কমিশন গঠন পূর্বক বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ১৯৭৩ সালের ১০ধাপে ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন, পে-স্কেল বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ৫০% মহার্ঘ ভাতা প্রদান, বাআবিকফ কর্তৃক পেশকৃত খসড়া আপগ্রেডেশন/পদোন্নতি নীতিমালা অথবা সকল পাবলিক, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় সমুহের নীতিমালা পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ সুবিধাপ্রাপ্ত অভিন্ননীতিমালা প্রনয়ন, বাংলাদেশ সচিবালয়ের ন্যায় প্রধান সহকারী/ সমমান,উচ্চামান সহকারী/সমমান পদে কর্মরত কর্মচারীদের জাতীয় বেতন স্কেল(২০০৯) ৮০০০-১৬৫৪০ টাকা দশম গ্রেড বাস্তবায়ন, সকল পাবলিক,স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগ এবং কর্মচারীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ব-স্ব বেসিক সংগঠনের প্রতিনিধিদেরকে কমিটিতে রাখা, বাংলাদেশ আন্ত.বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনকে বাৎসরিক দশ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান, সকল পাবলিক,স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলা কোটা অনুসারে, সকল পাবলিক,স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীদের কোন কারণে সাময়িক/স্থায়ী বরখান্ত করণের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটিতে বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন/শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বেসিক সংগঠনের প্রতিনিধি রাখা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কল্যাণ শাখা কর্তৃক ২৭/৬/২০১৬ তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সকল পাবলিক,স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী কর্মরত অবন্থায় মৃত্যুবরণ করলে সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় তার পরিবারকে ৮লক্ষ টাকা এবং স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে ৪লক্ষ টাকা প্রদান, যোগ্যতা অনুযায়ী সকল পাবলিক,স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত বিশ^বিদ্যালয়ে চাকুরী ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে পোষ্যকোটা নিশ্চিত, সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী ৫০% আভ্যন্তরীন প্রার্র্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং সকল পাবলিক,স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থাসহ মোট ১১দফার দাবী বাস্তবায়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্থরের কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিল।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]