‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা বিশিষ্ট সাংবাদিক, গীতিকার, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেনা জ্ঞাপন করেন।বৃহস্পতিবার (১৯ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় নেতৃদ্বয় বলেন, একটি কবিতা লিখেই বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ হয়ে আছেন তিনি। বাঙালীর স্বাধিকার আন্দোলনের প্রথম সোপান বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন স্পর্শ করেছিল তাকে। লিখেছিলেন এক অমর কবিতা। আজ তা বিশ্বজুড়ে একুশের প্রভাতফেরির গান হিসেবে গাওয়া হয়। একুশে ফেব্রুয়ারির সঙ্গে, ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে এভাবেই নিজেকে যুক্ত করে ফেলেছিলেন তিনি। বাঙালী চিরদিন স্মরণ করবে এই গানের গীতিকার আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে।তারা বলেন, তিনি একাধারেই রচেছেন অনেক কবিতা ও গান সহ উপন্যাসও। বর্তমান প্রজন্ম তাঁকে হয়তো একজন কলামিস্ট ও সাংবাদিক হিসেবে জানে, অথচ, তিনি নন্দিত একজন কথাশিল্পীও। মাত্র চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ার সময়েই আব্দুল গাফফার চৌধুরী লিখতে থাকেন। অবশেষে তারুণ্যদীপ্ত বয়সেই খ্যাতিমানের তালিকায় তাঁরই নাম লিখিত হয়ে যায়।নেতৃদ্বয় বলেন, মতপার্থক্য থাকলেও বলতে হবে যে, তাঁর লেখার অন্যতম আকর্ষণীয় দিক এই যে তিনি অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় তুলে আনেন সমসাময়িক বিষয়বস্তু। বায়ান্নতে যেমন অমর সঙ্গীতের বাণীর জন্ম দিয়েছেন, একাত্তুরেও তেমনই ভূমিকা রেখেছেন “মুজিবনগর সরকার”-এর প্রধান মুখপত্র “জয়বাংলা”-র সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপূর্ণ প্রকাশনার মধ্য দিয়েই। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে কলম সৈনিকের দায়িত্ব যথাযথ পালন-এর সঙ্গেই মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে “মোটিভেটর”-এর দায়িত্ব পালন করেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে।