দেশের গ্যাস বিতরণ কোম্পানি এবং বিপিডিবি কমিশন নির্ধারিত ছকে গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিতে পারে রবিবার অথবা সোমবার সংবাদের গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মন্তব্য করেছেন যে, গত দশ বছরে কয়েক দফায় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়ছে। আবাসিক গ্যাসের মূল্য আবারো বৃদ্ধির বিষয়টি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এর ফলে মানুষের জীবন আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।শনিবার (৪ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে জনজীবন যখন দুর্বিসহ তখন আবাসিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি একেবারেই যৌক্তিক নয়। দেশের ভেতরে যে গ্যাস রয়েছে সেটা সরকার উত্তোলণ করে না। বরং বিদেশ থেকে আমদানির ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যা একটা আসাধু চক্রকে ব্যবসা পাইয়ে দিতে, বিশেষ সুবিধা দিতেই এটা করা হচ্ছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে আবাসিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত তা বাস্তবায়ন হলে জনজীবন, সমাজ ও অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারের ভুল নীতি, অব্যবস্থাপনা, সিস্টেম লস ও দুর্নীতি দূর করার কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়া জনবিরোধী এবং সরকারকে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির এ প্রক্রিয়া থেকে সরে আসা উচিত। ‘ক্যাবের’ মতে এক শতাংশ মূল্যবৃদ্ধিরও প্রয়োজন নেই। বরং গ্যাসের মুল্য কমানোর সুযোগ রয়েছে।
তারা বলেন, অনিয়ম, অপচয় ও ব্যস্থাপনা ত্রুটি দূর করে গ্যাসের মুল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা উচিত। এটাই এ মুহূর্তে জনগণের প্রত্যাশা। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হলে শহরের বাইরের মানুষ জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহারে দিকে আবার ঝুঁকে পড়বে। এতে কাঠের ব্যবহার বাড়বে। বৃক্ষ ও বনভূমি উজাড় হবে। বিনষ্ট হবে দেশের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের কৃষি, অর্থনীতি, অবকাঠামো এবং মানুষের জীবন-জীবিকা।