মো: ঝুমন মিয়া, নারায়নগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল আলম সামসু গণমাধ্যমকে বলেন, বিগত সময়ে আমি ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ১৪ বছর আমার ইউনিয়নে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। চলতি মেয়াদে ২০২২ ইং সালের ১২ জানুয়ারি পূনরায় নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে জনগনের ভোটে নির্বাচিত হই। ৬ই নভেম্বর রবিবার সকালে সরেজমিনে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য বিতরণ নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে চেয়ারম্যান সামসুল আলম সামসু বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান উদ্দিন চুন্নু, ইউসুফ দেওয়ান ও আব্দুল বাতেনসহ তিনজনই আমার সাথে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়। চেয়ারম্যান বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আমার বিরুদ্ধে দেওয়ান উদ্দিন চুন্নু ও ইউসুফ দেওয়ান তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে সাথে নিয়ে একটি কুচক্রী মহলের সলাপরামর্শে আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য স্বরযন্ত্র করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যে, বানোয়াট ও অবান্তর অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় সংবাদপত্রে সংবাদ প্রচার করিয়েছে কয়েকজন ইউপি সদস্য। যারা সবসময় মাদক ব্যবসা, মাদকসেবন-সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। তারা আমার কাছ থেকে অবৈধভাবে সুবিধা চায়, আমি রাজি না হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে এসব স্বরযন্ত্র করে যাচ্ছে।আজ টিসিবি পণ্য বিতরণকালে ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার সেলিম মিয়া ও ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার জহিরুল ইসলাম ওই ইউনিয়নের আরেক মেম্বার (২নং ওয়ার্ড) আতাউর রহমানকে প্রকাশ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে হত্যার হুমকি দেয় এবং পরিষদে আসা বন্ধ করে দিবে বলে অকথ্যভাষায় গালাগালি করে।