শিরোমণি ডেস্ক : আমি ছাত্রলীগের সেক্রেটারি। আমাদেরতো অনেক নেতা-কর্মী। কয়েকজন আমাকে বলেছে। আমি জানি না, এ কথা যদি ছাপা হয় তারা এটা স্বীকার করবে কি না। দুজনের নাম বলব আমি, মুনির-হাসিব। খুব ক্যাটাগরিক্যালি তারা বলল যে ওই দিন রক্ষীবাহিনী গুলি করত না। কারণ, গুলিটা আগেই আমাদের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল। আমি বিস্মিত হয়েছি।
জিজ্ঞেস করেছি কেমন করে? ওরা বলেছে, ‘আপনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, ঢাকা থেকে তাদের ডিরেকশন দেওয়া হয়েছিল আর্মস নিয়ে, আর্মড লোকজন নিয়ে আসতে। তারা হাসানুল হক ইনুর কমান্ডে ছিল এবং হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে এটা হয়েছে।’ আমি তো দুজনের নাম বললাম। আমার ধারণা, আবুল হাসিব খান উইল বেইল মি আইট। স্বীকার করবে। বলবে না যে সে এ কথা বলেনি। এছাড়া, জয়নাল বলে একজন ছিল, জগন্নাথ কলেজের ছাত্র। থাকত বংশালের দিকে। সে আমাকে বলেছে, ‘আমি তো নিজেই রাইফেল নিয়া আসছি। ইনু ভাই আমাকে বলছে।’
তখনকার জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগ নেতা, রাজনীতিবিদ মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেছেন লেখক, গবেষক মহিউদ্দিন আহমদকে। মহিউদ্দিন আহমদের সদ্য প্রকাশিত ‘প্রতিনায়ক: সিরাজুল আলম খান’ বইয়ে এ বিবরণ পাওয়া যায়। ১৯৭৫ সালের ১৭ই মার্চ জাসদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনসুর আলীর বাসা ঘেরাওকে কেন্দ্র করে রক্তপাত নিয়ে কথা বলেন তারা। যে ঘটনায় ৫০ জন নেতাকর্মী নিহত হওয়ার দাবি করেছিল জাসদ। সেসময় ইত্তেফাকে ছয় জন নিহতের কথা বলা হয়।
মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে মহিউদ্দিন আহমদের আলোচনা