আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দু’দেশের সেনা সদস্যসহ এখন পর্যন্ত ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিবাদপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে রোববার থেকে প্রতিবেশী এই দু’দেশের মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়। এরপর থেকে এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়নি।
আজারবাইনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, নতুন করে তাদের আরও কমপক্ষে ২৬ সেনা নিহত হয়েছে। ফলে দু’পক্ষের এই সংঘাতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর ৮৪ সদস্য নিহত হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার পর্যন্ত আজারবাইজানে ৯ জন বেসামরিক এবং আর্মেনিয়ার দুই বেসামরিক নিহত হয়েছে। ফলে সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক নাগরিক মিলে মোট ৯৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
দু’দেশের সংঘাতের বিষয়ে নাগোরনো-কারাবাখের নেতা আরায়িক হারুতিয়ানইয়ান রয়টার্সকে বলেন, এটি জীবন-মরণের যুদ্ধ। বাকু এবং ইয়েরেভানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার প্রায় সারাদিন ধরেই সংঘাত চলেছে।
আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আর্টসরান হোভহানিসিয়ান জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় কারাবাখ ফ্রন্ট লাইনের দক্ষিণ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে আজারবাইজান বাহিনী।
দু’পক্ষকেই এই সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। কিন্তু সব আহ্বান উপেক্ষা করে প্রতিবেশী এই দু’দেশ সংঘাত, যুদ্ধেই মেতে আছে।
১৯৮০’র দশকের শেষদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে।
১৯৯৪ সালে দু’পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে হলেও আর্মেনিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে জাতিগত আর্মেনীয়রা।
২০১৬ সালের পর এবারই প্রথম এই অঞ্চলে বড় ধরনের সংঘাতের জড়িয়ে পড়েছে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান। ওই অঞ্চলে দুই দেশের সামরিক বাহিনী ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছে উভয় পক্ষই।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]