1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৬ অপরাহ্ন

আলফাডাঙ্গাতে ইয়াবার ভয়াবহ ছোবল, ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ

আরিফুজ্জামান চাকলাদার আপেল, আলফাডাঙ্গায় প্রতিনিধি। ইডেটর- জুবায়ের চৌধুরী কাজল
  • আপডেট : রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০

আরিফুজ্জামান চাকলাদার আপেলঃ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলাতে ভয়াল ইয়াবার ছোবলে ধবংস হচ্ছে যুব সমাজ। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী দিন দিন বৃদ্ধির ফলে মাদকের কালো মেঘের চাদরে ঢেকে যাচ্ছে সমগ্র আলফাডাঙ্গা। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ও আবার কেউ কেউ নিজের নামের পাশে রাজনৈতিক দলের সাইনবোড লাগিয়ে, বেকার যুবক, স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের সহজ লভ্য ইয়াবা ব্যবসা ও সেবনের সাথে জড়িয়ে ফেলেছেন বলে সাধারন জনগন মত প্রকাশ করেন।উঠতি বয়সের মাদক ব্যবসায়ীরা স্কুল কলেজের ছাত্রীদের ও গৃহবধুদের পরকিয়ার প্রেমের ফাঁদে ফেলে অন্তরঙ্গ হওয়ার সুবাদে ধীরে ধীরে মাদক সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত করছে বলে অনেকে মত প্রকাশ করেন। বিগত দিনের পুলিশের সোর্স পথ ঘাট চিনে পরবর্তীতে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত হয়েছে বলে অনেকে মৌখিক অভিযোগ তুলেছেন।

বিশিষ্টজনেরা মত প্রকাশ করেন,আলফাডাঙ্গা রাজনৈতিক নেতারা,প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এক প্লাটফর্মে কাজ করলে দ্রুত মাদক এর হাত থেকে যুব সমাজকে সুরক্ষা করা যাবে। প্রতিদিন আলফাডাঙ্গা পৌরসভা এরিয়াতে ৫০হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার মাদক ব্যবসায়ীদের লেনদেন হয়ে থাকে বলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম আকরাম হোসেন প্রতিবেদকের কাছে মত প্রকাশ করেন। উপজেলা যে প্রান্তে যাই সেখানে মাদকের অভিযোগ শুনতে পাই। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের সিন্ডিকেটের যদি ভোটের জনপ্রতিনিধিরা জড়িত থাকে তাহলে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয় বলেও তিনি অভিমত ব্যাক্ত কনেন। তবে কে ভোট দিল আর না দিল সেটা দেখার বিষয় না যুব সমাজেকে ইয়াবার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য অচিরেই সবাই এক যোগে মাঠে নামবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ আকরামুজ্জামান কুয়েতি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, পৌর মেয়র, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, যে সমস্ত ভোটের জনপ্রতিনিধি মাদকের সঙ্গে জড়িত নয় তাদের নিয়ে এক প্লাটফর্মে এসে মাদক ব্যবসায়ীকে নিজ হাতে প্রতিহত করতে হবে। অন্যথায় মাদকের হাত থেকে আলফাডাঙ্গা বাসিকে বাঁচানো সম্ভব নয়।এদিকে পৌরমেয়র সাইফুর রহমান বলেন, আমার পৌর এলাকায় বিভিন্ন সময় সিসি ক্যামেরা দেখে মাদক ও ইভটিজিং এর ব্যাপারে থানা ওসিকে তথ্য দেই। এরা কিভাবে ছাড়া পেয়ে যায় বিষয়টি আমার জানা নেই।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভোটের জনপ্রতিনিধিরা মাদকের সাথে জড়িত আছে বলে আমি আগেও শুনেছি বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের সাথে চলাফেরা সখ্যতা থাকার প্রমান মিলেছে। আমি বিড়ি সিগারেট বা মাদক সেবন করি না। তাদেরকে কোন সময় আশ্রয় প্রশ্রয় দেইনা।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, মাদক কি জিনিস আমি চিনি না। আলফাডাঙ্গা বাসিকে মাদক মুক্ত দৃড় প্রত্যয় করেছেন। সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দেশ স্বাধীন করেছি কিন্তু বর্তমানে স্বাধীন বলা যায় না।দেশটা ঘুষ দুর্নীতি মাদকে ছয়লাভ গেছে এবং ভুরিভুরি অভিযোগ পাওয়া যায়। এদেশকে আবার পুনরায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীর হাত থেকে রক্ষা জন্য যুদ্ধ নামতে হবে। প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক এনায়েত হোসেন বলেন, আলফাডাঙ্গা থেকে কারা মাদক ব্যবসা ও সেবন করে আমি প্রায় লোকের নাম জানি। বিগত দিনে বিভিন্ন সময় থানার ওসি সাহেবকে বিষয়টি অবহিত করেছি, তারপরেও আলফাডাঙ্গা তে কি ভাবে মাদক ব্যবসায়ীরা সক্রিয় এটা আমার বুঝে আসে না।তবে আমি অচিরেই আলফাডাঙ্গা থেকে মাদক মুক্ত হোক এটা আমি চাই ও সব ধরনের সহযোগিতা করব

এদিকে সদর ইউনিয়নের তরুন সমাজ সেবক,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো: সোহরাব হোসেন বুলবুল বলেন, চারিদিকে মাদকের ছড়াছড়ি আমার ইউনিয়ন থেকে অচিরে মাদক দূর করার জন্য সবাইকে নিয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলার জন্য এক যোগে কাজ করবো। সমাজের সুধী জনেরা বলেন, শুধু রবি, ইব্রাহীম, শ্যামল এদেরকে ধরে আদালতে পাঠালে মাদক নির্মূল হবে না। মাদক কারবারীদের মদদ দাতা, অর্থের যোগান, সামাজিক সেলটার,বিভিন্ন শ্রেনীর লোকের সাথে শখ্যতা করিয়ে দেওয়া ঐ সমস্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাদের কে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী করেছেন সুধী সমাজ।

Facebook Comments
৪ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি