পবিত্র জেরুজালেম শহরে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে ইহুদিদের প্রার্থনার অনুমতির পক্ষে রায় দিয়েছেন ইসরায়েলের একটি আদালত। যদিও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। তাদের আশঙ্কা এর মাধ্যমে ইহুদিরা জোরপূর্বক পবিত্র স্থানটির দখল নিয়ে নিতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ে বলা হয়, আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে ইহুদি প্রার্থনাকারীরা যদি নীরব থেকে প্রার্থনা করে তাহলে তা অপরাধ বলে বিবেচনা করা যাবে না। দীর্ঘদিন থেকেই এক চুক্তির অধীনে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল-আকসায় নামাজ পড়ে আর কাছের পশ্চিম দেওয়ালে প্রার্থনা করে ইহুদিরা।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলি দখলদার রাবি আরিয়েহ লিপ্পোর করা এক মামলার জেরে ইহুদি প্রার্থনাকারীদের পক্ষে রায় দিয়েছেন দেশটির আদালত। আল-আকসায় প্রবেশের ক্ষেত্রে আরোপিত সাময়িক নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন নিয়ে আদালতে যান তিনি। আল-আকসা কমপ্লেক্সে প্রার্থনা করায় তার ওপর ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইসরায়েলি পুলিশ।
ইসরায়েলি আদালতের সিদ্ধান্তের পর আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সের স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ইব্রাহিম স্টাইয়া। বৃহস্পতিবার তিনি দাবি করেন, পবিত্র আল-আকসা মসজিদে নতুন বাস্তবতা আরোপের ইসরায়েলি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে আমরা হুঁশিয়ার করছি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে তেলআবিব এবং আম্মানের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক চুক্তি অনুযায়ী- আল-আকসা মসজিদের তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা পালন করে জর্ডান। ইসরায়েলি আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আম্মান বলেছে, এটি আল-আকসা মসজিদের ঐতিহাসিক এবং আইনি মর্যাদার মারাত্মক লঙ্ঘন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]