রেদোয়ান হাসান, ঢাকা জেলা প্রতিনিধি:সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশেজুড়ে চলছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদ। তবে এসময়ে সাভারের আশুলিয়ার রুস্তমপুর এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশান ঘাট দখল করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার প্রভাবশালী একটি মহলের বিরুদ্ধে। আর এতে আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবরের সহযোগিতারও অভিযোগ রয়েছে । দখলে বাধা দেওয়ায় হয়রানীর সম্মুখীন হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা।
রবিবার ( ১২ মার্চ ) সরেজমিনে দেখা যায়, শ্মশান ঘাটের জমিতে আদালতের রায় টানিয়ে রাখা স্বত্বেও উক্ত রায়কে অমান্য করে জমি দখলের পায়তারা করে যাচ্ছে অভিযুক্ত ভূমিদস্যুরা।
অভিযোগ রয়েছে, রুস্তমপুর বিনোদপুর পল্লীমঙ্গল সমবায় সমিতির অধীনস্থ ৬০৪ একর জমির ভুয়া দলিল ও কাগজ জালিয়াতি করে ২০২২ সালে ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের নিকট রেজিস্ট্রেশন বায়না করে এই চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা।
রুস্তমপুর বিনোদপুর পল্লীমঙ্গল সমবায় সমিতির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য জানান,
কয়েকদিন আগেও চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবরের সহযোগিরা মেক্সন গ্রুপের কাছে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে বিক্রির চেষ্টা করে এবং এখান থেকেও হাতিয়ে নেয় কয়েক কোটি টাকা। বিষয়টি যখন সমিতির লোকজন জানতে পারে তখন সবাই আদালতের দ্বারস্থ হয়।
এর আগে এলাকাবাসী যখন তাদের পক্ষে আদালত থেকে রায় নিয়ে আসে সেই আদালতের নির্দেশযুক্ত সাইনবোর্ডও তুলে নদীতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে এই ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ভূমিদস্যুদের মধ্যে রয়েছে বিজয় সাহা, শামসুদ্দিন দেওয়ান, নিয়ত দেওয়ান, হুমায়ুন দেওয়ান, রাজ্জাক মাতবর সহ বেশ কয়েকজন।
এ বিষয়ে ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ২০২২ সালের দিকে আমি এই জায়গাটি রেজিস্ট্রেশন করি কয়েক কোটি টাকায়। এখানে আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবর সরাসরি যুক্ত ছিলেন। কিন্তু বিষয়টি আমি পরে জানতে পারি যে কিছু কাগজ জালিয়াতি করা হয়েছে। তাই আমি জায়গা থেকে সরে আসি কিন্তু আজও আমার টাকা ফেরত পাইনি।
সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীরা জোর দাবি জানান যেন জনগণের স্বার্থে এই জমিটি ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করে দেয়া হয়।
২ views