বিধান মন্ডল, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বড়বালিয়া গ্রামের আলোচিত ইঞ্জিনিয়ার হামিদ খান হত্যা মামলার আরও দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে সালথা পুলিশ। আটককৃত দুই আসামী উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বড়বালিয়া গ্রামের মৃত হাচিম খানের ছেলে দাউদ খান (৫৫) এবং তার ভাই আয়ুব খান (৫২)। সোমবার মাগুরা জেলার সদর থানা এলাকা ও ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকুপা থানা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
সালথা থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, সালথা থানার ওসি তদন্ত সুব্রত গোলদার এর নেতৃত্বে পুলিশর একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হত্যা মামলার এজাহার নাম ভুক্ত আসামী দাউদ খান ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকুপা থানা এলাকা থেকে এবং আইয়ুব খান মাগুরার সদর থানা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ২১ শে সেপ্টেম্বর সোমবার আটক করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সালথা থানার ওসি তদন্ত সুব্রত গোলদার বলেন, মাগুরা ও ঝিনাইদাহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাগুরা সদর থানা এলাকা থেকে আইয়ুব খান ও ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকুপা এলাকা থেকে দাউদ খানকে আটক করতে সক্ষম হই, এর আগেও এই মামলার এজাহার ভুক্ত দুই আসামীকে আটক করা হয়। অন্য আসামীদের আটকের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ বলেন, সালথা থানার মামলা নং-০৪, তারিখ- ০৮/০৬/২০২০ ইং, এর এজাহার ভুক্ত দুই আসামীকে আটক করে মঙ্গলবার তাদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। অন্য আসামীদের আটকের জন্য আমাদের নিয়মিত অভিযান চলবে। কোন অপারাধীর জায়গা সালথা থানায় হবে না।
উল্লেখ্য, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে চাচা দাউদ খান ও আয়ুব খানের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল তারই জের ধরে ৬ জুন শনিবার রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে ভাতিজা হামিদের উপর হামলা করে চাচা দাউদ খাঁন, আয়ুব খাঁন ও তাদের ছেলেরা। হামলার সময় রামদার কোপ লাগে হামিদের মাথায়। পরে তাকে আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা নেওয়ার পথেই এ্যাম্বুলেন্সেই মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত হামিদের বড় ভাই হাচান খান (৩৫) বাদি হয়ে সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।