ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে সরিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে সবশেষ বিশ্বকাপের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড। তবে টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে নিজেদের শীর্ষস্থান মজবুত করেছে ইংলিশরা। আইসিসির বার্ষিক হালনাগাদকৃত র্যাংকিংয়ে জানানো হয়েছে এ খবর।
সবশেষ ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে দুই ধাপ এগিয়ে এসেছে নিউজিল্যান্ড। তিন নম্বর থেকে তারা এখন অবস্থান করছে ১ নম্বরে। অন্যদিকে এক ধাক্কায় শীর্ষস্থান থেকে চার নম্বরে নেমে গেছে ইংল্যান্ড। মাঝের দুইটি স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত।
শীর্ষস্থান দখল করা নিউজিল্যান্ডের বর্তমান রেটিং পয়েন্ট ১২১। দুইয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার নামের পাশে রয়েছে ১১৮ রেটিং পয়েন্ট। ভারত-ইংল্যান্ডের ঝুলিতে সমান ১১৫ পয়েন্ট থাকলেও, ভগ্নাংশে ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল।
র্যাংকিংয়ের পরের তিনটি স্থানে আসেনি কোনো রদবদল। আগের মতোই পাঁচে দক্ষিণ আফ্রিকা, ছয়ে পাকিস্তান ও সাত নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। তবে রেটিং পয়েন্ট বেড়ে ৮৯ থেকে ৯০ হয়েছে বাংলাদেশের। অন্যদিকে ৫ রেটিং কমেছে পাকিস্তানের।
নিজেদের মধ্যে জায়গা অদল বদল করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা। আট নম্বরে উঠে এসেছে ক্যারিবীয়রা, তাদের রেটিং পয়েন্ট ৮২, নয়ে নেমে যাওয়া শ্রীলঙ্কার ঝুলিতে রয়েছে ৭৯ পয়েন্ট। এছাড়া ৬২ পয়েন্ট নিয়ে দশ নম্বর দলটির নাম আফগানিস্তান।
এদিকে টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। আগের আপডেটে ১০ নম্বরে থাকলেও, এবার বার্ষিক হালনাগাদে ২২৫ রেটিং নিয়ে ৯-এ উঠে এসেছে তারা। এর মূল কৃতিত্ব ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যর্থতার। তারা ৬ রেটিং পয়েন্ট হারিয়ে নেমে গেছে দশ নম্বরে।
কুড়ি ওভারের র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থানে রয়েছে ইংল্যান্ড। তাদের রেটিং পয়েন্ট ২৭৭। দুই নম্বরে থাকা ভারতের নামের পাশে রয়েছে ২৭২ রেটিং পয়েন্ট। দুই ধাপ এগিয়ে ২৬৩ রেটিং নিয়ে পাঁচ নম্বর থেকে তিনে উঠে এসেছে নিউজিল্যান্ড।
এছাড়া চার নম্বরে পাকিস্তান (২৬১), পাঁচে অস্ট্রেলিয়া (২৫১), ছয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা (২৪৮), সাতে আফগানিস্তান (২৩৬) ও আট নম্বরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা (২২৭)। অর্থাৎ শ্রীলঙ্কার খুব কাছাকাছিই রয়েছে বাংলাদেশ। এমনকি একটি সিরিজ জিততে পারলে আফগানিস্তানকেও টপকে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তানের মধ্যকার টেস্ট সিরিজ চলমান থাকায় অভিজাত এই ফরম্যাটের র্যাংকিং হালনাগাদ প্রকাশ করেনি আইসিসি। সিরিজটি শেষ হওয়ার পর জানানো হবে টেস্ট র্যাংকিং আপডেট। সেখানে বাংলাদেশ দলের এক ধাপ অবনমনের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।