দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদেরই নাকাল করে ছাড়ল ইংল্যান্ড। ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে তারা স্বাগতিকদের সহজেই হারিয়েছে, এক ম্যাচ হাতে রেখেই। রবিবার পার্লে ইংলিশরা জিতেছে ৪ উইকেটে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫ উইকেট আর ৪ বল হাতে রেখে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচটিতেই একই রকম পরিণতি হলো স্বাগতিকদের। এবার অবশ্য কিছুটা লড়াই করেছিল তারা, তবে এক বল বাকি থাকতে জয় তুলে নেয় ইংলিশরা।
বোলান্ড পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৪৬ রানেই আটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক ছাড়া টি-টোয়েন্টি ধারার ব্যাটিং করতে পারেননি আর কেউই। ডি কক ১৮ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় করেন ৩০ রান।
বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউ ৩০ রানও করতে পারেননি। ৯৫ রানে ৫ উইকেট হারানো প্রোটিয়ারা যে কোনোমতে একটা লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল, তার পেছনে মূল অবদান রসি ভ্যান ডার ডাসেন আর জর্জ লিন্ডের।
তবে ডাসেন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেও তার ইনিংসটি মোটেই টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই ছিল না। ২৯ বলে এই ব্যাটসম্যান করেন ২৫ রান। ২০ বলে ২৯ আসে লিন্ডের ব্যাট থেকে।
জবাব দিতে নেমে বিপদে পড়েছিল ইংল্যান্ডও। ৮৩ রানের মধ্যে শীর্ষ ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে তারা, সবে তখন ১৩ ওভার পেরিয়েছে। তবে ডেভিড মালান দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে। দলীয় ১৩৪ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন তিনি।
ইংলিশদের জয় তখন অনেকটাই নাগালে চলে এসেছে। ৪০ বলে ৭ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় মালান করেন ৫৫ রান। বাকি কাজটা সেরেছেন অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। ১৭ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন তাবরেজ শামসি। ১৯ রানে ৩টি উইকেট নেন এই স্পিনার। ২ উইকেট শিকার লুঙ্গি এনগিদির।