শিরোমনি ডেস্ক রিপোর্ট:চীনের এই কূটনৈতিক চাল রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া ঝাখারোভা বলেছেন, চীনের এই পরিকল্পনার অর্থ হলো ‘ইউক্রেনে পশ্চিমারা যে অস্ত্র ও ভাড়াটে সৈন্যের জোগান দিচ্ছে, তা বন্ধ হওয়া।’ তিনি আরও বলেন, এই পরিকল্পনার অভিপ্রায় হলো, ‘হিংসার অবসান, ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থানে ফিরে যাওয়া, জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে যে নতুন সীমানার বিন্যাস তৈরি হয়েছে, তার স্বীকৃতি প্রদান এবং ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ ও নাৎসিমুক্ত করা ও ইউক্রেন ভূখণ্ড থেকে যে ধরনের হুমকি সৃষ্টি হয়েছে, তার অপসারণ।’
চীনের প্রস্তাবে এই যুদ্ধের জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেন কোনো পক্ষকেই দায়ী করা হয়নি। এর পরিবর্তে, সহিংসতা উসকে দেওয়ার জন্য সাধারণভাবে পশ্চিমকে ও বিশেষভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে খোলামেলা সমালোচনা করা হয়েছে।
একটি অঞ্চলের নিরাপত্তা কখনোই সামরিক জোট শক্তিশালী করা কিংবা সামরিক জোট সম্প্রসারণ করার মাধ্যমে অর্জিত হয় না। চীনের কূটনৈতিক নথিতে দাবি করা হয়েছে ইউক্রেনকে ধাপে ধাপে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল পশ্চিমের।
যুক্তরাষ্ট্র ও এর পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার ওপর যে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তারও সমালোচনা করেছে চীন। কূটনৈতিক নথিতে আরও দাবি করা হয়েছে, ‘একতরফা নিষেধাজ্ঞা ও সর্বোচ্চ চাপ সমস্যা সমাধান করতে পারবে না, শুধু নতুন সমস্যা তৈরি করবে।’
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]