বছরে সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ কি শেষ হচ্ছে? যুদ্ধের ১০ মাস পেরিয়ে এসে ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ভ্লাদিমির পুতিন করমর্দন করছেন, শান্তির বার্তা দিচ্ছেন; এমন দৃশ্য হয়তো অনেকেই কল্পনা করতে পারছেন না। তবে রাজনীতি ও কূটনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। তাই শান্তি আলোচনায় সফলতার সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকদের অনেকে। ইউক্রেনের চাওয়া, যুদ্ধাপরাধের দায়ে রাশিয়া ও রুশ নেতাদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার নিশ্চিত করা। দখল হয়ে যাওয়া ভূমি পুনরুদ্ধার করা। তবে ইউক্রেন থেকে সেনা সরিয়ে নিতে নারাজ রাশিয়া। ১৯৪৫ সালের মতো আরেকবার শূন্য হাতে যুদ্ধ শেষ করতে চাইবে না মস্কো। এ চাওয়া নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় আলোর মুখ দেখছে না শান্তিপ্রক্রিয়া।
প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বাস্তবসম্মত কৌশল হতে পারে যুদ্ধবিরতি। তবে যুদ্ধবিরতি রাশিয়ার জন্য যতটা লাভজনক, ইউক্রেনের জন্য ততটা না–ও হতে পারে। কেননা গত ১০ মাসে যুদ্ধক্ষেত্রে রুশবাহিনী অনেকটাই বিচ্ছিন্ন ও আকাশপথে হামলানির্ভর হয়ে পড়েছে। আর পর্তুগালের আয়তনের সমান ইউক্রেনীয় ভূমি দখল করে নিয়েছে রাশিয়া।
এদিকে শীত মৌসুম এসে যুদ্ধ পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে। ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহব্যবস্থায় একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাশিয়াকে এগিয়ে রাখছে। তীব্র শীত মোকাবিলার উপায় খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ইউক্রেন সরকার। শীত শেষে গ্রীষ্ম কিংবা শরতে যুদ্ধের মোড় ঘুরতে পারে। তত দিন যদি পশ্চিমারা অর্থ ও অস্ত্রসহায়তা অব্যাহত রাখে, তবেই ইউক্রেন টিকে থাকবে।