ভারতীয় মসলিনের খোঁজে ইউরোপ থেকে ১৪৯৮ সালে ভারতে আসার পথ আবিষ্কার করেছিলেন পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো দা গামা। এরপর দলে দলে ইউরোপীয়রা এই উপমহাদেশে আসতে শুরু করে।তাদের সঙ্গে ভারতে আসে খ্রীস্ট ধর্মও।সেই শুরুর দিকে ভারতের পশ্চিম উপকূলে গোয়ায় বসতি স্থাপন করেছিল ইউরোপীয়রা – আর সেখান থেকে তারা ছড়িয়ে পড়তে থাকে পুরো ভারতবর্ষ জুড়ে।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে পর্তুগিজরা পঞ্চদশ শতকে এলেও তখন তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ব্যবসা-বাণিজ্য এবং এসব ব্যবসায়ীরা ধর্ম বিস্তারের দিকে খুব একটা নজর দেয়নি। বাংলাদেশে খ্রিষ্টমণ্ডলীর ইতিহাস’ বইতে ফাদার মাইকেল ডি’রোজারিও লিখেছেন, ”১৫০০ সাল থেকে বিভিন্ন যাজক সম্প্রদায়-ফ্রান্সিকান, ডমিনিকান, অগাস্টিনিয়ান প্রভৃতি ব্যবসায়ীদের সাথে পর্তুগাল থেকে ভারতে এসে পর্তুগীজ শাসিত সমুদ্রোপকূলীয় জেলাগুলোতে গির্জা নির্মাণ করতে লাগলেন।”
তিনি লিখেছেন, ১৫১৭ সাল থেকেই পর্তুগীজরা নিয়মিতভাবে জলপথে বাংলা দেশে যাতায়াত শুরু করে। ১৫৩৭ সালে তারা চট্টগ্রাম এবং হুগলীর কাছে সাতগাঁয়ে উপনিবেশ স্থাপন করে। জুলিয়ানো পেরেরা নামের একজন ফাদার ছিলেন সাতগাঁয়ের (হুগলির কাছে) গির্জার দায়িত্বে।