রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || রবিবার | ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
ঈদ সেলামির নতুন নোটের বাজারে হতাশা
রেদোয়ান হাসান,সাভার,ঢাকা প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ
করোনা ভাইরাসের মধ্যেই দ্বিতীয়বারের মতো ঈদুল ফিতর পালন করতে যাচ্ছে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আর ঈদের দিনে সেলামি বাঙালি মুসলমানদের একট অন্যতম রীতি। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর গড়ে ওঠে নতুন টাকা বিক্রির ব্যবসাও। তবে এবছর নতুন টাকার চাহিদা নেই বললেই চলে। এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা।সাভার ও আশুলিয়ায়ায় ফুটপাতে নতুন নোটের দোকানগুলোতে অলস বসে থাকতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের। একারণে নতুন নোটের মূল্যও কমিয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। তবুও ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন না বলে দাবি তাদের।সাভারের অন্ধমার্কেটের সামনে নতুন নোট বিক্রি করছিলেন আলী আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, করোনার কারণে নতুন নোট বিনিময় কমে গেছে গেল বছরের ঈদ থেকেই। যাদের অতি প্রয়োজন তারাই আসেন নতুন নোট নিতে। করোনার আগে যে পরিমাণ বিক্রি হতো করোনার পর পর থেকে তা অর্ধেকে নেমে এসেছে।আশুলিয়ার পল্লিবিদ্যুৎ এলাকার নতুন নোট ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, ৫০ টাকার নোটের ১০০টির একটি বান্ডিল ৫ হাজার ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিনিময় হচ্ছে। ২০ টাকার নোটের ১০০টির একটি বান্ডিল ২ হাজার ৫০ টাকা, ৫০০ ও ১০০০ টাকার ১০০টির এক বান্ডিলের বিনিময়ের জন্য দিতে হচ্ছে বাড়তি ২০০ টাকা। ৫ টাকার নতুন নোট সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বেশি। চাহিদা না থাকায় পাওয়া যাচ্ছে না ২ টাকার নোট।সাভারের আরেক নতুন টাকার বিনিময়কারী আলমাস হোসেন বলেন, করোনার কারণে ব্যবসা খুব খারাপ। গেল রোজার ঈদ থেকে শুরু হয়েছে এ অবস্থা। ঈদের আগে সাধারণ সময়ে যে পরিমাণ নতুন নোট বিনিময় হতো এখন তার চেয়ে অল্প কিছু বেড়েছে। বিগত সময়ে ঈদের আগে যে পরিমাণ নোট আমরা বিনিময় করেছি তা অর্ধেকে নেমে এসেছে করোনাকালীন ঈদে।তবে নতুন নোটের দাম বাড়িয়ে রাখা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কয়েকজন ক্রেতা। তারা বলেন, বলেন, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে দেখলাম ক্রেতার সংখ্যা বাড়লেই নতুন নোটের বিনিময় মুল্য বাড়িয়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। আমি ১০ টাকার ১০০টি নোটের একটি বান্ডিল কিনেছি ১ হাজার ১৫০ টাকা দিয়ে। তার অল্প কিছুক্ষণ আগে আরেক ক্রেতা ১০ টাকার ১০০টি নোটের একটি বান্ডিল কিনেছেন ১ হাজার ১৮০ টাকা দিয়ে।তবে বিক্রেতাদের দাবি দাম বেশি নিচ্ছেন না তারা। বিক্রেতারা বলেন, আমরা খরিদ্দারের কাছ থেকে দাম বেশি নিচ্ছি না। যে দরে কিনেছি তার সঙ্গে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.