এস এম শাহাদৎ হোসাইন গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় অবশেষে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর এফ. হক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, সভাপতি, ইউএনওসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করে শতাধিক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষে রিপন মিয়া নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে সিনিয়র সহকারী জজ (সুন্দরগঞ্জ) গাইবান্ধার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম প্রধান। মামলায় মুল বিবাদী করা হয়েছে, চন্ডিপুর এফ. হক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. মোজাম্মেল হক, পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি আমিন হোসেন, অফিস সহকারী ফিরোজ কবির ও সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রশিদ, মোজাহিদুল সরকার, সাইফুল্লাহ ও হাবিবুর রহমান। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে চন্ডিপুর এফ. হক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির তালিকায় নাম ও তথ্য ঠিক থাকলেও কৌশলে মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করেন সাবেক অধ্যক্ষ ও সাবেক সভাপতিসহ কতিপয় শিক্ষক-কর্মচারী। পরে এসব শিক্ষার্থীর কয়েক কিস্তিতে মোবাইল অ্যাকাউন্টে আসা (গত দেড় বছর) উপবৃত্তির মোট ৪ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন তারা। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগের পর সরেজমিন তদন্তে উপবৃত্তি টাকা আœসাতের সাথে অধ্যক্ষ ও শিক্ষক-কর্মচারীদের জড়িত থাকার প্রামাণ পায় উপজেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও শিক্ষা অধিদপ্তর জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। উপবৃত্তির টাকা ফেরৎ পায়নি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। রিপন মিয়া বলেন মোবাইল নম্বর পরিবর্তনের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা আতœসাতে জড়িতদের বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরতের দাবিতে আদালতে প্রতিনিধিত্বমূলক মামলা করেন তিনি। আগামী ৭ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে গত ৩০ জুন বিবাদী সাবেক অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ প্রেরণ করা হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি। এছাড়াও মামলায় সহযোগী বিবাদী করা হয়েছে, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, গাইবান্ধা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সোনালী ব্যাংক সুন্দরগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুর ও পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।