২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কোনো নির্বাচনি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে না।
নির্বাচনি পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ শুরু করবে ঢাকা বোর্ড। নির্বাচনি পরীক্ষার জন্য কলেজগুলোও কোনো ফি আদায় করতে পারবে না।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলামের সই করা এক সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘করোনার কারণে এ মুহূর্তে এইচএসসির নির্বাচনি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের তথ্যসংবলিত সম্ভাব্য তালিকা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে আগামী ২৮ জুন। এ সম্ভাব্য তালিকা হতে আগামী ২৯ জুন থেকে ফরম পূরণ শুরু হবে, চলবে ১১ জুলাই পর্যন্ত।
ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার জন্য ২ হাজার ৫০০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য ১ হাজার ৯৪০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত আদায় করা যাবে না। এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কলেজের ফরম পূরণ প্যানেল বন্ধ করাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেবল বৈধ রেজিস্ট্রেশনধারী শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। কোনো শিক্ষার্থী তার রেজিস্ট্রেশনবহির্ভূত কোনো বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। অংশ নিলে ওই বিষয়ের পরীক্ষা কোনোরূপ যোগাযোগ ছাড়াই বাতিল করা হবে।
করোনাভাইরাস মহামারিতে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের গড়ের ওপর এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হয়। তবে এ বছর ৮৪ দিনের পাঠ পরিকল্পনার ভিত্তিতে পরীক্ষা নেয়ার চিন্তা ছিল।
১৩ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, ‘চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উদ্বেগটা অনেক বেশি। আমরা চেষ্টা করছি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে তাদের পরীক্ষা নেয়ার। যদি সেটা সম্ভব না হয় তবে তাদের জন্য বিকল্প চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’
দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। সেই ছুটি দফায় দফায় বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।