করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে পরীক্ষা ছাড়া এইচএসসি বা উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশে ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (সংশোধিত) আইন, ২০২১’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার (১১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পরে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, অধ্যাদেশ জারি করে আগামী বুধ থেকে শনিবারের মধ্যে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা যায় কি না, সেই প্রস্তাব তোলা হয়েছিল মন্ত্রিসভায়। আইনে বিধান আছে, পরীক্ষা নিয়ে রেজাল্ট দিতে হবে। যেহেতু এবার পরীক্ষা নেওয়া যায়নি, তাই ৭-১০ দিনের মধ্যে রেজাল্ট দিতে অধ্যাদেশ জারির প্রস্তাব করেছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
তিনি বলেন, ‘আর মাত্র ছয় দিন পর সংসদ বসবে, তাই মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত দিয়েছে, অধ্যাদেশ নয়, সংশোধিত আইন আকারেই পাস করা হবে, যাতে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে রেজাল্ট দেওয়া যায়।’
১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে।
কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গত ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এইচএসসি পরীক্ষাও এবার নেওয়া যাচ্ছে না।
সেদিন তিনি বলেছিলেন, অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে এবারের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষিত হবে।
পরে ডিসেম্বরের শেষে এসে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, যেহেতু পরীক্ষা নেওয়া যায়নি, সেহেতু আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে নতুন বছরের শুরুতে এইচএসসির ফল প্রকাশ করা যায় কি না, সেই চেষ্টা তারা করছেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]