একজন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি`র কারণেই দেশের প্রাচীনতম জেলা ফরিদপুরের অবলেহিত সালথা- নগরকান্দা আজ আলোকিত হয়েছে। আমার বয়স হয়তো মাত্র ৩০ বা ৩২ হবে। ছোট্ট বেলা থেকেই জনতার মুখে শুধু তার নামটি ঘনঘন শুনতাম আমার এলাকার রাজনীতিতে। তিনি যে আমাদের মাঝে উন্নয়নের কারিগর হয়ে এসেছে’ তা তখন বিশ্বাস হতো না। আজ সেই অবিশ্বাসের দেওয়াল ভেঙ্গে’ শুধু আমার নয়’ প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে অবস্থান নিয়ে আছেন তিনি।
বেশি দিন আগের কথা নয়। মাত্র এক যুগ আগে যদি ফিরে যাই, তাহলে অবহেলিত সালথা-নগরকান্দার চিত্র ঠিক কেমন ছিল আর এখনকার চিত্রই বা কেমন’ তা নিয়ে ভাবলে অবাক হয়ে যেতে হয়। প্রিয় নেত্রী আমাদের মাঝে আসার পর থেকে আগের সেই চিত্র পাল্টাতে থাকে । দেশ ও দলের জন্য তার পাহাড় সমান অবদানের কথা বাদ দিয়ে আজ শুধু ফরিদপুরের সালথা-নগরকান্দায় তার পাহাড় সমান অবদানের কিছু অংশের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
সালথা-নগরকান্দা উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের নিভৃত পল্লীগুলোতে জ্বলছে বিদ্যুতের আলো, কাঁচা রাস্তা করা হয়েছে পাকা, অগনিত শিক্ষা’সামজিক প্রতিষ্ঠানে নির্মাণ করা হয়েছে ডিজিটাল ভবন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে করা হয়েছে জাতীয় করণ, বিদ্যুতবিহীন এলাকায় সরকারিভাবে সংযোগ দেয়া হয়েছে অসংখ্য সৌর প্যানেল।
গত ১০ বছরে সব মিলিয়ে দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করা হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে। আর এই উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সু-দক্ষ নেতৃত্বের জন্য। তার নেতৃত্বে উন্নয়নের জোয়ারে এখন ভাসছে সালথা-নগরকান্দা উপজেলা। জানা মতে, তিনি উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। যার কারণে সালথা-নগরকান্দার গণমানুষের একমাত্র আস্থার প্রতীক এখন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
এক সময় কাচা রাস্তা ও হালট দিয়ে পায়ে হেটে জেলা-উপজেলার সদরে যাতায়াত করতো এলাকাবাসী। বিভিন্ন নদ’নদী ও খাল’বিল পার হতো বাঁশের সাঁকো দিয়ে। ভবনের অভাবে খোলা মাঠে দেয়া হতো শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিদ্যুতের আলোর অভাবে অন্ধাকার ঘরে মোমের আলো দিয়ে পড়াশোনা করতে হতো শিক্ষার্থীরা।
বছর দশেক আগে সালথা-নগরকান্দা উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ঘুরে ঘুরে অনুন্নত এলাকাগুলো শনাক্ত করে পায়ে হেটে পরিদর্শন করতেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি। আর এসব এলাকায় গিয়ে দিয়ে আসতেন নানা ধরণের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে শুরু করা হতো উন্নয়নমুলক কাজ। এভাবেই ধীরে ধীরে নানা ধরণের উন্নয়নমূলক কাজ হতে থাকে উভয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। আজ উন্নত মডেল হিসাবে সারাদেশে পরিচিত পেয়েছে সালথা-নগরকান্দা উপজেলা।
কল্পনাহীন উন্নয়ন করা হয়েছে সালথা-নগরকান্দায়। জীবনে ভাবতেও পারেনি আমাদের রঘুয়ারকান্দী গ্রামের সামনে দিয়ে পাকা রাস্তা হবে, ভাওয়াল-মোড়হাট ও দিয়াপাড়া-জয়ঝাপ গ্রামের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। তাও করা হয়েছে। এখন ঘর থেকে বের হয়ে গাড়িতে করে যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারছি কোন সমস্যা হচ্ছে না। এসব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রিয় নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি ও তার ছেলে কৃষিবিদ শাহাদাব আকবর লাবু চৌধুরী জন্য। দোয়া করি তাদের শরীর যেন আল্লাহ সব সময় ভাল রাখেন। শুধু মাত্র আমার নয়, প্রিয় নেত্রীর উন্নয়ন আর অবদানের কথা এভাবেই বলতে হবে সালথা-নগরকান্দার প্রতিটি মানুষের।
সালথা উপজেলা পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মো: ওয়াদুদ মাতুব্বর বলেন, দশ বছর আগের সালথা-নগরকান্দা আর এখনকার সালথা-নগরকান্দার মধ্যে অনেক ব্যবধান। দশ বছর আগে মানুষ ঘর থেকে বের হলে দুর্ভোগ নেমে আসতো আর এখন মানুষ ঘর থেকে বের হলে সুখ নেমে আসে। কারণ দশ বছর আগের উনুন্নত সালথা-নগরকান্দা এখন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে সালথা-নগরকান্দায়। যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভাব নয়। বিদ্যুতবিহীন প্রায় গ্রামে এখন বিদ্যুতের আলো জ্বলছে। এছাড়া সরকারিভাবে উপজেলা, স্কুল, মসজিদ-মাদ্রাসা, মন্দিরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উন্নয়নের মহাসাগরে পরিনত হয়েছে সালথা-নগরকান্দা। জননেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি ও জননেতা শাহাদাব আকবর লাবু চৌধুরীর অক্লান্ত প্ররিশ্রমে এসব উন্নয়ন করা সম্ভাব হয়েছে। তারা না হলে সরকারের বিভিন্ন খাত থেকে উন্নয়নমুলক এতো বরাদ্দ আনা সম্ভাব হতো না।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের সময় নগরকান্দা-সালথায় যে উন্নয়ন হয়েছে তার স্বাক্ষী জনগন। তারা এসব উন্নয়নের ঋন কোন দিন শোধ করতে পারবে না। যা সম্ভাব হয়েছে প্রিয় নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি ও জননেতা শাহাদাব আকবর চৌধুরীর নেতৃত্বে। উন্নয়নের ঘাটতি নেই সালথা-নগরকান্দায়। এখন আর কেউ বলতে পারবে না যে আমার গ্রামে রাস্তা-খাট নেই। সব গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়েছে। নেত্রী যে উন্নয়ন করেছেন তা ভুলার নয়। সালথা-নগরকান্দীবাসী সারাজীবন এদের কাছে ঋনী থাকবে।
লেখক-
নুরুল ইসলাম নাহিদ
সাধারন সম্পাদক
সালথা প্রেসক্লাব, ফরিদপুর
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]