মারুফ হোসেন বুড়িচং(কুমিল্লা) প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
ভিটে-বাড়িহীন রোকিয়া বেগম। গরীব ঘরে মেয়ে। একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই খোঁজে পাওয়ার জন্য ৪/৫ বছর ধরে মেম্বার চেয়ারম্যানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে । কারো কাছে সহযোগীতার আশ^াস না পেয়ে অবশেষে ধরনা দেওয়া শুরু করেছে উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে। ফ্যাকাশে মুখে রোকিয়া বেগম বুড়িচং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমির) কার্যালয়ের বারান্দায় ঘুরছে এবং ভূমি অফিসের লোকদেরকে বলছে-একটু ম্যাডামের সাথে আমার কথা বলার সুযোগ দেন। কিন্ত কেউ তার কথা কর্ণপাত করছে না। সাথে রয়েছে তার দুই বছরের ছেলে আঃ কাদের। তাকে দেখে অনেক ক্লান্ত মনে হচ্ছে। খাওয়া-দাওয়া হয়নি। চোখে মুখে হতাশার পাহাড়। নিড়বে দাঁড়িয়ে আছে। এভাবে হতাশ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞাসা করাতে চোখের জলগুলো গড়িয়ে পড়তে লাগল। তারপর বলতে লাগল। একটু ঠাঁই পাওয়ার আশায় ঘুরছি। ৪/৮ বছর ধরে কখনো মেম্বারদের কাছে আবার কখনো চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ঘুরছি। কিন্ত আমার ঠাঁই মনে হয় কোথাও হবে না। অভাবের সংসারের বোঝা টেনেই কূল কিনার কিছু হচ্ছে না। কিন্ত মাথা গোঁজার ব্যবস্থা হবে কিভাবে। কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের কাকিায়ার চর গ্রামের মৃত আবদুল হামিদ শিকদারের মেয়ে রোকিয়া বেগম। প্রায় ১০ বছর পূর্বে বিবাহ হয় বরিশাল জেলার বড়গুনা উপজেলার জলইশা গ্রামের জামাল হোসেনের সাথে। কিন্ত স্বামীর বাড়ীতে তার ঠাঁই হয়নি। একান্ত বাধ্য হয়ে বাপের বাড়ীতেই স্বামীকে নিয়ে উঠতে হয়েছে। স্বামী জামাল হোসেন রাজমিস্ত্রির কাজ করে। সব সময় কাজ করতে পারে না। তাদের সংসারে জেহাদ ইসলাম ও আবদুল কাদের নামে দুজন ছেলে রয়েছে। বাপের বাড়ীতেই ১০ বছর কাটিয়ে দিয়েছে। নিজস্ব ঠিকানা বলতে কিছ্ইু নেই। এই ব্যাপারে মোকাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলু মুন্সীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই বিষয়গুলো ওয়ার্ড মেম্বাররা বলতে পারবে। তারা প্রকৃত ভূমিহীনদের ব্যাপারে খোঁজ খবর রাখে। মেম্বাররা ভালো ভাবে বলতে পারবে।ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রোকিয়া বেগম প্রকৃত পক্ষে ভূমিহীন। মাথা গোঁজা জায়গা নেই। আমরা চেষ্টা করছি,কিভাবে তার মাথা গোঁজার ঠাই করা যায়।
৫ views