গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় উত্থান হলেও সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বড় দরপতন হয়েছে। একদিনেই স্বর্ণের দাম সাড়ে তিন শতাংশ কমে গেছে। স্বর্ণের সঙ্গে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বড় দরপতন হয়েছে রুপার। একদিনে রুপার দাম ৬ শতাংশের ওপরে কমে গেছে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রতি আউন্স এক হাজার ৮৯৮ ডলার নিয়ে গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের লেনদেন শুরু হয়। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার লেনদেন শুরু হতেই স্বর্ণের দামে বড় উত্থান হয়। একদিনে প্রায় ৫০ ডলার বেড়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৪৩ ডলারে উঠে যায়।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ায় গত ৫ জানুয়ারি দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ভরিতে এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর করা হয় ৬ জানুয়ারি থেকে।
স্বর্ণের এ দাম বাড়ানোর বিষয়ে বাজুসের পক্ষে থেকে বলা হয়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সঙ্কট, চীন-ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ এবং ইউএস নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি, তেলের দরপতন ও নানা জটিল সমীকরণের কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুরোদমে চালু না থাকা, বিএসটিআইয়ের সক্ষমতার অভাব এবং নানা দাফতরিক জটিলতার কারণে দেশীয় গোল্ড ডিলারদের চাহিদার বিপরীতে স্বর্ণবার আমদানি করতে না পারার কারণে দেশীয় বুলিয়ন/পোদ্দার মার্কেটে স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দাম বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নতুন নির্ধারণ করা দাম অনুযায়ী, এখন দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৭৪ হাজার ৬৫০ টাকা। আর ২১ ক্যারেটের প্রতিভরি স্বর্ণ ৭১ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতিভরি স্বর্ণ ৬২ হাজার ৭৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি সোনার দাম বেড়ে হয়েছে ৫২ হাজার ৪৩০ টাকা।