শিরোমনি ডেস্ক রিপোর্ট: আধুনিক সড়ক পথ ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। কিন্তু এই সড়কেই প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে অকালে ঝড়ে পড়ছে প্রাণ। পঙ্গুত্ব বরণ করে পরিবারের বোঝা হচ্ছেন অনেকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্দিষ্ট গতিসীমা উপেক্ষা করে যানবাহন চলাচল করার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটছে। গতিসীমা মেনে যান চালানোর আইন থাকলেও তা চালকরা মানছেন না। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, হাইওয়ে পুলিশ নির্দিষ্ট জায়গায় মেশিন ও চেকপোস্ট বসিয়ে গতি নিয়ন্ত্রণ করলেও ওই জায়গা পার হয়েই চালকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তাই দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। আর এই সড়কে চলাচলকারীরা জানান, সামনে ঈদ। এ উপলক্ষ্যে সড়কে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বাড়বে। দুর্ঘটনা রোধে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে ওই সময়ে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হতে পারে।
গত বছর জুনে উদ্বোধনের পর পদ্মা সেতুতে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হন। এরপরই সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে সেতুতে যান চলার গতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলেও ঢাকা থেকে মাওয়া এবং জাজিরা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটারে গতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এজন্য পরিবহণ মালিকদের গাফিলতিও রয়েছে। তারা চালকদের কড়া নির্দেশনা দিলে গতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো। কিন্তু তারা তা করছেন বলে মনে হয় না। এ ছাড়া সড়ক সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকেও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেই। এ কারণেই ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে এখন দুর্ঘটনাপ্রবণ সড়ক হয়ে উঠছে