বছর ব্যবধানে দিগুণ হয়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেন। বাজার মূলধনও প্রায় দেড়গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে পৌনে ছয়লাখ কোটিতে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যার অবশ্য বলছেন, দেশের অর্থনীতির হিসেবে এখনো অনেক ছোট পুঁজিবাজারের আকার। বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাজারের সম্ভাবনা ছড়িয়ে দিতে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উর্দ্ধমুখী বাজারের বড় চ্যালেঞ্জ কারসাজি নিয়ন্ত্রণ।
বিনিয়োগকারিদের এমন অংশগ্রহণ মনে করিয়ে দেয় ২০০৯ সালকে। এরপর ২০১০ সালের ধস, পুঁজিবাজার থেকে ছিটকে ফেলে দেয় বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীদের। এক যুগ পর আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে দেশের দুই পুঁজিবাজার।
বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭৪ কোটি টাকা, যা এক বছর আগেও ছিলো ৩ লাখ ৮৬ হাজার কোটি। বছরের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৭১ কোটি টাকা, এক বছর আগে যা ছিলো ১১৪৭ কোটি। ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২২৮ পয়েন্টে, এক বছর আগে যা ছিলো ৫১১৬ পয়েন্ট।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সম্ভাবনা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে রোড শো করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। কমিশন চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের প্রত্যাশা। এর ফলে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে।
তবে দুশ্চিন্তার নাম দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানি নিয়ে কারসাজি। উৎপাদন বন্ধ থাকার পরও কোন কোন কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে কয়েকগুন। বিনিয়োগকারীদের এজন্য সাবধানি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদ।
বাজার ভালো রাখতে কেন্দ্রিয় ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের ইতিবাচক মনোভাব চান বিনিয়োগকারীরা।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]