পলাশ মাহমুদ,শার্শা উপজেলা প্রতিনিধিঃ
গত এক বছরে বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন খানের নেতৃত্বে ২২ কোটি ২৮ লক্ষ ৮৭ হাজার ১০০ শত টাকার মাদক দ্রব্য আটক করেছে অত্র থানার পুলিশ সদস্যরা। যশোরের সীমান্তবর্তী এলাকা বন্দরনগরী বেনাপোল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর । এখানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা সহ সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন বেনাপোল পোর্ট থানার দায়িত্বরত অফিসার ইনচার্জ মামুন খান। তিনি সততা, মেধা, বিচক্ষনতা, কর্মদক্ষতা ও মানবিকতার মাধ্যমে শান্তিময়ী মানুষের মন জয় করে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এই থানা।
বেনাপোল পোর্ট থানা সূত্রে জানা যায়, সর্বপ্রথম তিনি পোর্ট থানাকে সাধারন মানুষের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। তিনি চেয়েছেন বেনাপোল পোর্ট থানা যেন একটি মানবিক থানার স্থান করতে সক্ষম হয়। এছাড়া মাদক কারবারি ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি সহ বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী কাজের মাধ্যমে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছেন। সাধারন মানুষ যেন কোন হয়রানির শিকার হতে না হয় তার জন্য তিনি ভুক্তভুগিদের কথা শুনে দ্রুত সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকেন।
মামুন খান বেনাপোল পোর্ট থানায় যোগদানের পর শান্তিকামী মানুষের মধ্যে শ্রদ্ধা ও আস্থা ফিরে আসে ধীরে ধীরে তিনি বন্দর নগরী মানুষের কাছে আস্থার প্রতীকে রুপ ধারন করেছেন । মামুন খানের সততা, অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে মাদক নিয়ন্ত্রন ও আইনশৃঙ্খলার ব্যপক উন্নতি হয়েছে। তাই মানুষের মুখে শোনা যায় তার প্রশংসার কথা। থানায় আশা ভুক্ত ভুগীরা জানান, বেনাপোল পোর্ট থানার অন্তগত প্রতিটি গ্রামে আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। তাছাড়া থানায় জিডি ও মামলা করতে কোন অর্থ লাগে না।
নাভারন সার্কেল পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় ওসি মামুন খান বেনাপোল পোর্ট থানায় আইন শৃঙ্খলা উন্নতিতে অনেকটা সফল হয়েছে।
ওসি মামুন খান ২০১৯ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর বেনাপোল পোর্ট থানায় যোগদান করেন । তাঁর যোগদানের পর অনেক মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীরা তার নেতৃত্বে গ্রেফতার হয়েছে বলে যানা যায়। তার আতঙ্কে এলাকায় অপরাধীরা ও সন্ত্রাসীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান অনেকেই।
বেনাপোল পোর্ট থানায় এক সময়ে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ছিল যেটা তিনি নিজ হাতে দমণ করেছেন। ছিনতাই ইভটিজিং, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, জুয়া, মাদক সহ বিভিন্ন অনিয়ম কঠোর হাতে দমন করেছেন। ওসি মামুন খানের দিক নির্দেশনায় এ পর্যন্ত প্রায় ২২ কোটি ২৮ লক্ষ ৮৭ হাজার ১০০ শত টাকার মাদক দ্রব্য আটক করেছে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ সদস্যরা।
মামুন খান বলেন, দেশের প্রতিটি থানার ওসি যদি সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ কারে তাহলে আমাদের সোনার বাংলাদেশ মাদক, দুর্ণিতি ও সন্ত্রাসমুক্ত হবে, এবং এদেশ গড়ে উঠবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার এই স্লোগানকে সামনে রেখে দিন রাত মানুষের সেবা নিশ্চিত করে চলেছি।
উল্লেখ্য, বছরব্যাপী করোনা মহামারীর মধ্যে মাক্স বিতরণ সহ বিভিন্ন জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিট পুলিশ কার্যক্রম চালু করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। মামুন খানের আগামীর পথ চলার শুভ কামনা জানিয়েছেন স্থানিয় জনপ্রতিনিধি,সাধারন ব্যবসায়ী, সাংবাদিক সহ বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ও থানায় সেবা নিতে আশা সাধারন মানুষেরা।