জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ভারতের ওষুধ কোম্পানি ভারত বায়োটেকের করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন দেয়নি যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধবিষয়ক সরকারি সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে এফডিএর পক্ষ থেকে।
ভারতের জাতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুমোদনের পরিবর্তে ভারত বায়োটেককে তাদের করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনের আরও ট্রায়াল চালানোর পরামর্শ দিয়েছে এফডিএ।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের টিকা তৈরি ও বিক্রির জন্য তাদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মত হয়েছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ওকুজেন ইংক। কোম্পানির এক কর্মকর্তা ভারতের জাতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ওকুজেন ইংকের পরামর্শেই যুক্তরাষ্ট্রে এই টিকার ব্যবহার এবং উৎপাদনের অনুমোদন চেয়ে এফডিএ বরাবর আবেদন করেছিল ভারত বায়োটেক।
তবে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার বা যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে উৎপাদন- কোনোটিরই অনুমোদন দেয়নি এফডিএ।
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা উৎপাদন কোম্পানি সেরমা ইনস্টিটিউটে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় প্রস্তুত করোনা টিকা কোভিশিল্ড ও ভারতীয় ওষুধ কোম্পানি ভারত বায়োটেকের করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন মূলত ব্যবহার হচ্ছে এই কর্মসূচিতে।
কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য কোভিশিল্ড ইতোমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন পেলেও এখনও কোভ্যাক্সিন তা পায়নি।
এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রে বিপাকে পড়তে হচ্ছে কোভ্যাক্সিনের ডোজ নেওয়া ভারতীয়দের। একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে চাকরির উদ্দেশ্যে বিদেশে যেতে চাওয়া ভারতীয়দেরও। এই আবহে এফডিএর অনুমোদন না পাওয়াকে কোভ্যাক্সিনের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন ভারতের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনা টিকা ২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য কতখানি উপযুক্ত তা খতিয়ে দেখতে দিল্লির এআইএমএসে শুরু হয়েছে ক্লিনিকাল ট্রায়াল।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]