কট্টর ডানপন্থী মেরিন লঁ পেনকে হারিয়ে গতকাল রোববার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতেছেন এমানুয়েল ম্যাক্রন। এতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকছেন তিনি। তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিনন্দন জানিয়ে টুইটারে লিখেছেন, বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় ফ্রান্স আমাদের পুরোনো বন্ধু ও সহযোগী। ইউক্রেনকে সমর্থন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ফ্রান্সকে তাদের ঘনিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু উল্লেখ করে টুইটে লিখেছেন, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সহ বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে আমরা একসঙ্গে থাকব।
রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রনের সঙ্গে কয়েক দফায় কথা বলেছেন। মাখোঁ আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় তাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
এদিকে, ম্যাক্রনকে ইউক্রেনের প্রকৃত বন্ধু উল্লেখ করে ইউক্রেনীয় ও ফরাসি ভাষায় টুইটারে তিনি লেখেন, ফ্রান্সের জনগণের জন্য আবারও ম্যাক্রনের সাফল্য কামনা করছি। ইউক্রেনকে সমর্থনের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা একসঙ্গে বিজয়ের পথে হাঁটব।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, এই অস্থির সময়ে এমানুয়েল ম্যাক্রনেরর বিজয় নিরপেক্ষ গণতন্ত্রের প্রতীক। টুইটে তিনি লিখেছেন, আমরা ফ্রান্স ও মাখোঁর সাফল্য কামনা করি। বিশেষ করে ইউরোপে মাখোঁর নেতৃত্ব এবং ইন্দো-প্যাসিফিকে অস্ট্রেলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পার্টনার হিসেবে মাখোঁর জন্য শুভ কামনা।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, গণতন্ত্র রক্ষা, জলবায়ু ইস্যু, মানসম্পন্ন কর্মের ব্যবস্থা এবং মধ্যবিত্তের জন্য অর্থনৈতিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে আমাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা হবে।
এমানুয়েল ম্যাক্রনের বিজয়কে সমগ্র ইউরোপের জন্য সুখবর বলে অভিহিত করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি।
এমানুয়েল ম্যাক্রনকে অভিনন্দন জানিয়ে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল এক টুইটে লিখেছেন, আমরা আরও পাঁচ বছর ফ্রান্সের উপর নির্ভর করতে পারি।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন লিখেছেন, আমাদের সহযোগিতাপূর্ণ চমৎকার সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে, আমি আনন্দিত।
মাখোঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, স্বাস্থ্যকর, সুন্দর ও নিরাপদ বিশ্বের জন্য ফ্রান্সের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্ব বহাল থাকবে।