মোঃ জোবায়ের আদনান অনিক, শিক্ষানবিশ প্রতিনিধি, বেতাগী উপজেলা বরগুনা:বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ, যেখানে জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশ তরুণ। তরুণদের মেধা, মনন, এবং উদ্ভাবনী চিন্তা আগামী দিনের বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। একটি জাতির উন্নতি নির্ভর করে সেই জাতির যুবসমাজের উপর। তাই তরুণদের উপযুক্ত শিক্ষা, নেতৃত্বের সুযোগ, এবং সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করা অত্যন্ত জরুরি।
শিক্ষা ও প্রযুক্তি
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গঠনে তরুণ প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে হবে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং গণিত—এসব ক্ষেত্রে উচ্চতর জ্ঞান অর্জন তরুণদের প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত দক্ষতা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে তারা নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে পারে। তাই শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করা ও তরুণদের কাছে প্রযুক্তি সহজলভ্য করার বিষয়টি অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা উচিত।
উদ্যোক্তা মানসিকতা
তরুণদের মধ্যে উদ্যোক্তা মানসিকতা গড়ে তোলা জরুরি। কেবল চাকরির পিছনে না ছুটে নিজেরা উদ্যোক্তা হয়ে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলো তরুণদের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। এর মাধ্যমে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি বেকারত্বের হারও কমানো সম্ভব। তরুণদের মধ্যে ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা উচিত।
নৈতিকতা ও মূল্যবোধ
তরুণ প্রজন্মের নৈতিকতা ও মূল্যবোধের উন্নয়ন ছাড়া উন্নত সমাজ গঠন সম্ভব নয়। সততা, শৃঙ্খলা, ও মানবিক গুণাবলীর চর্চা তাদের জীবনের অংশ হতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল থাকা তরুণরা দেশের সুশাসন নিশ্চিত করতে পারবে। পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ও সমাজের দায়িত্ব এই মূল্যবোধ গড়ে তোলা। তরুণরা যদি আদর্শ মানুষ হয়ে উঠে, তাহলে তারা আগামীর বাংলাদেশের সেরা সম্পদ হয়ে উঠবে।
রাজনৈতিক সচেতনতা
তরুণদের রাজনৈতিক সচেতনতা দেশের গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা, এবং ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়ানো তাদের দায়িত্ব। তরুণদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে তারা সমাজ পরিবর্তনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও রাজনৈতিক আলোচনা আয়োজন তাদের রাজনৈতিক চিন্তাশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
তরুণদের উচিত দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা এবং লক্ষ্য অর্জনে ধারাবাহিক কাজ করা। শিক্ষা, কর্মসংস্থান, এবং সামাজিক সেবায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা ভবিষ্যৎকে আরও উজ্জ্বল করতে পারে। দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। পরিকল্পিত কাজের মাধ্যমে তারা একটি শক্তিশালী ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবে।সর্বপরি আগামীর বাংলাদেশ হওয়া উচিত তরুণ প্রজন্মের মেধা, মনন, এবং শ্রমের ফসল। তাদের যদি সঠিক দিকনির্দেশনা এবং সুযোগ দেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে একটি উন্নত দেশের মর্যাদা লাভ করবে।
মোঃ সিদ্দিকুর রহমান অপু
তরুণ রাজনৈতিক কর্মী
গণঅধিকার পরিষদ (GOP)
বরগুনা জেলা শাখা।
প্রতিনিধি : মো: জুবায়ের