যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা জাহাজবিধ্বংসী হারপুন মিসাইল বোঝাই অস্ত্র গুদাম ধ্বংসের দাবি করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। রাশিয়ার বার্তা সংস্থাগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ওডেসা সমুদ্রবন্দরের একটি জাহাজ মেরামত কারখানায় একটি নোঙর করে রাখা ইউক্রেনীয় যুদ্ধজাহাজ ও মার্কিন সরবরাহ করা জাহাজ বিধ্বংসী হারপুন মিসাইল বোঝাই একটি অস্ত্র গুদাম দূরপাল্লার নির্ভুল নৌ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো থেকে শস্য রপ্তানি এবং যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতি কমানোর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার একদিন পর শনিবার ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের ওই বন্দরে এই হামলা চালানো হয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এদিকে, এ ব্যাপারে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুলুসাই আকর বলেন, আমরা (শুক্রবার) যে চুক্তিটি করেছি। তারপর এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। যা সত্যিই আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। ওই হামলার ব্যাপারে কিছুই জানে না বলে তুরস্কের কাছে দাবি করেছে মস্কো। মস্কোর এই দাবির ব্যাপারে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুলুসাই আকর এক বিবৃতিতে বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের সময় মস্কো আমাদের বলেছে যে এই হামলার সঙ্গে তাদের একেবারেই সংশ্লিষ্টতা নেই। তারা বিষয়টি খুব ঘনিষ্ঠভাবে এবং বিশদভাবে পরীক্ষা করছে।অন্যদিকে, চুক্তি স্বাক্ষরের পর রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছিলেন মস্কো এই চুক্তির ‘কোনো সুযোগ’ নেবে না। ইস্তাম্বুলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগদানের পর রসিয়া-২৪ রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলকে সের্গেই শোইগু বলেন, রাশিয়া সেই বাধ্যবাধকতা গ্রহণ করেছে যা এই নথিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বন্দরগুলোর মাইন সরিয়ে খুলে দেওয়ার সুযোগ আমরা নেব না। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।ইউক্রেনে হামলা করার পর দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলোর বেশিরভাগই দখল করে রাশিয়া। এরপর সেগুলো বন্ধ করে দেয় তারা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ইউক্রেনের শস্য রপ্তানিও। এতে করে বিশ্বে খাদ্য সংকটের শঙ্কা দেখা দেয়। কারণ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক দেশ হলো ইউক্রেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]