করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রেক্ষাপটে ভারত যে ‘লাল তালিকা’ তৈরি করেছে সেখান থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানা যায়, করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন প্রতিরোধে কিছু পদক্ষেপ নেয় ভারত। বাংলাদেশকে ওই তালিকাভুক্ত করে ভ্রমণে অতিরিক্ত কড়াকড়ি আরোপ করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি পূর্ণডোজ টিকা নেওয়া ভ্রমণকারীদের জন্য যে ছাড় দেওয়া হচ্ছিল, সেটিও বাতিল করা হয়।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। এর পর তা ছড়িয়ে পড়েছে আরও কয়েকটি দেশে। ওমিক্রন ধরা পড়া দেশগুলোর পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ভারত।
রবিবার (২৮ নভেম্বর) তৈরি করা ভারত সরকারের ওই তালিকায় ছিল- যুক্তরাজ্য, গোটা ইউরোপ এবং আরও ১১টি দেশ বা অঞ্চল। সেগুলো হলো- বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বতসোয়ানা, চীন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ইসরায়েল।
ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে, ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশগুলো থেকে ভ্রমণকারী অথবা ট্রানজিটগ্রহীতাদের ভারতে পৌঁছানোর পরপরই আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে হবে এবং এর ফল আসা পর্যন্ত বিমানবন্দরেই অপেক্ষা করতে হবে।
ভ্রমণকারীদের কেউ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলে ভারত সরকারের নির্ধারিত জায়গায় আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হবে এবং নেগেটিভ না হওয়া পর্যন্ত তাদের সেখানেই থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ভ্রমণকারী ওমিক্রন বা করোনার অন্য যেকোনো ধরনেই আক্রান্ত হোন না কেন, সবারই আইসোলেশনে যেতে হবে এবং চিকিৎসকের ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই কেবল তারা ছাড়া পাবেন।
‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ওই দেশগুলো থেকে যাওয়া ভ্রমণকারীরা করোনা নেগেটিভ শনাক্ত হলেও তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা এবং অষ্টম দিনে করোনা টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক। ওই পরীক্ষায় তারা করোনা নেগেটিভ শনাক্ত হলে ভারত সরকারের কোভিড-১৯ হেল্পলাইনে তা জানাতে হবে। এ ছাড়া ভ্রমণকারীদের সবশেষ ১৪ দিনের ভ্রমণবৃত্তান্তও জমা দিতে হবে।