করোনার নতুন আতংক ওমিক্রন। তাই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
সীমান্তের ঘোজাডাঙায় চালু হয়েছে কোভিড পরীক্ষাকেন্দ্র। বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করা যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও খালাসিদের করোনার নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে সেখানে।
বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্টে ভারতে আসা যাত্রীদের আরটি-পিসিআর টেস্ট করা শুরু হয়। আর রিপোর্ট আসতে যেহেতু তিন থেকে চারদিন সময় লাগবে, তাই যাত্রীদের প্রয়োজনে ট্রেস করার জন্য তাদের ফোন নম্বরসহ ঠিকানা রাখা হচ্ছে।
শুক্রবারও (০৩ ডিসেম্বর) বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে গিয়ে দেখা গেল, বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রীদের করোনা টেস্ট করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে করোনার নতুন স্ট্রেইন নিয়ে বিশ্বজুড়ে আতংক তৈরি হয়েছে। নতুন এই ধরন ওমিক্রন বিশ্বের একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই সব রাজ্যকে সর্তকর্তামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সাবধান করা হয়েছে। রাজ্যগুলোকে একগুচ্ছ নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে যেকোনো ধরনের গাফিলতি বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
মূলত ১২টি দেশের তালিকা করা হয়েছে। এই দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশও আছে। প্রতিদিনই বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ আসেন এই রাজ্যে বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে। অপরদিকে ঘোজাডাঙা থেকে প্রতিদিন কয়েকশো পণ্যবাহী ট্রাক ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে। তাই সরকারি নির্দেশে বৃহস্পতিবার থেকে ঘোজাডাঙা সীমান্তে বিশেষ সর্তকতা নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে যাতায়াত করা যাত্রী ও ট্রাক চালক ও খালাসিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে সীমান্তে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাজীব সানা বলেন, সরকারি নির্দেশিকা মেনে বাংলাদেশ থেকে আগত যাত্রীদের কোভিড টেস্ট করা হচ্ছে।