মোঃ এরফান হোছাইন, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক শিরোমণিঃ
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) আনুমানিক দুপুরে ১ টার দিকে কক্সবাজার সদরের হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে এই বিশাল আকৃতির তিমি ভেসে আসে।
এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন মানুষের মাঝে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঢালাওভাবে সংবাদ ও লাইভ প্রচার করেছে। ৪৪ ফুট দৈর্ঘ্যের বিশাল আকৃতির তিমি ভেসে আসার সংবাদ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসনের লোক থেকে শুরু করে হাজারো সাধারণ মানুষ তিমিটি দেখতে অত্র হিমছড়ি সীবিচ পয়েন্টে ভীড় জমায়।
অনেকের ধারণা তিমিটিকে মারা হয়েছে আবার অনেকে এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে ভাবছেন তবে বিশ্বস্থ সুত্রে এটির মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায় নি।
উক্ত হিমছড়ি এলাকার আবদুর শুক্কুর নামের এক ব্যবসায়ী জানান, দুপুরে স্থানীয়রা তিমিটিকে সাগরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। পরে কাছে গিয়ে দেখেন এটি মৃত । তিমিটির শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরও ফুলে গেছে। তাদের ধারনা এটির ওজন ২.৫ টনের বেশি হতে পারে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সদর রেঞ্জের কর্মকর্তা সমীর কুমার সাহা বলেন, হিমছড়ি সৈকতে একটি বিশাল সামুদ্রিক প্রাণী ভেসে আসার খবর পেয়ে স্থানীয় বনকর্মী ও হিমছড়ি পর্যটনস্পট পরিচালকরা ঘটনাস্থলে যান। এটি একটি তিমি মাছ। অনেক আগে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এর নাড়িভুঁড়ি কিছুই নেই।
এছাড়া এর পরের দিন একই বীচ পয়েন্টে আরেকটি মৃত তিমি ভেসে আসে।
কয়েকজন স্থানীয় জেলেরা জানান, উক্ত তিমি মাছের মরদেহ দ্রুত না সরালে দুটো জোয়ারের ঢেউয়ের পানিতে সাগরে তলিয়ে যেতে পারে যার ফলে সাগরের অন্যান্য প্রাণীসহ বিভিন্ন পরিবেশ দূষণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কেননা এসবেত মৃত্যু প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি বলে ধারণা। এছাড়া তিমি মাছগুলোর আশেপাশে অসহ্য পচা গন্ধ ছড়াচ্ছে।
সোসাল মেডিয়া সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এগুলো দ্রুত পুতে ফেলার দাবি আসলে ১০ এপ্রিল (শনিবার) কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ও ইউএনও রামুর তত্বাবধানে সাগরে ভেসে আসা মৃত তিমি দুটিকে মীর আক্তার হোসেন লিঃ এর সহযোগীতায় এবং তাজ ট্রেডিং এর ব্যাবস্থাপনায় মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছে।
৬৫৭ views