মোঃ রুহেল আহম্মেদ ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার কৃতি সন্তান ধামইরহাট মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাংবাদিক ও কবি অরিন্দম মাহমুদ শিল্প ও সাহিত্যের কাগজ লিটল ম্যাগাজিন ‘পালকি’ সম্পাদনার জন্য ২০২১ সালের ‘কবি সম্পাদক আ্নওয়ার আহমদ স্মৃতিপদক’ এর জন্য মনোনিত করেছে বগুড়া লেখক চক্র। আগামী ১৬ মার্চ বুধবার বিকালে বগুড়ায় কবির জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য স্মরণসভায় ‘পালকি’ সম্পাদক কবি অরিন্দম মাহমুদকে এই স্মৃতিপদক প্রদান করা হবে।বগুড়া লেখক চক্র সভাপতি ইসলাম রফিক বলেন, লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনার জন্য ২০১০ সাল থেকে কবি আন্ওয়ার আহমদ স্মরণে বগুড়া লেখক চক্র এই স্মৃতিপদক
প্রদান করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ‘পালকি’ সম্পাদনার জন্য কবি অরিন্দম মাহমুদকে ‘কবি সম্পাদক আ্নওয়ার আহমদ স্মৃতিপদক’ এর জন্য মনোনিত করা হয়েছে। বগুড়া লেখক চক্রের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্মরণসভায় কবিপুত্র নাজিম আনওয়ার রূপমসহ কবি সাহিত্যিক ও সংস্কৃতি কর্মিরা উপস্থিত থাকবেন।শিল্প ও সাহিত্যের কাগজ ‘পালকি’ সংখ্যাটিতে আন্ওয়ার আহমদ কে নিয়ে লেখা ছাড়া ও প্রবন্ধ, গল্প ও কবিতায় সাজানো হয়েছে। পালকিতে যে লিখাগুলো স্থান পেয়েছে তার মধ্যে হচ্ছে- ‘অঙ্গে কুসুমের উত্তাপ, নগ্ন, স্মৃতি যেসব দৃশ্য জমা রেখেছিল, গুম, আছো তুমি গোপন হয়ে ফরটিডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে, পকেটের কষ্টই ছিল তার মৃত্যুর দূত!, কাঁটাতার, নিরুদ্দেশ রাস্তা, জীবন জোনাকি, আলোর সংসার, বিকেলের শেষে আলোয় একটি দীর্ঘ ছায়া, একদিন পালকিতে চড়ে বর সেজে এসেছিলেন আন্ওয়ার আহমদ’। কবি অরিন্দম মাহমুদ: পারিবারিকভাবে নাম মো. নূরুন্নবী ফারুকী। তবে সাহিত্যচর্চায় ছদ্মনাম ব্যবহার করেন অরিন্দম মাহমুদ। এ নামই এখন পরিচিতি পেয়েছে। জন্ম ১৯৭৯ সালে ১৪ নভেম্বর নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার দক্ষিণ চকযদু ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। তার ভাই-বোন আটজন। তবে ভাইদের মধ্যে তিনি তৃতীয়। বাবা মো. ইব্রাহীম হোসেন নূরানী ও মা- মৃত মর্জিনা বেগম। তার শৈশব কেটেছে নওগাঁর ধামইরহাটে। ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ‘শিল্প ও সাহিত্যের কাগজ’ পালকি সম্পাদনা ও সাহিত্যচর্চার উল্লেখযোগ্য সময় কেটেছে বগুড়ায়। তিনি এক কণ্যা সন্তানের জনক। লেখালেখি করেন মনের খোরাক মেটানোর জন্য। আর সখের বসে করেন সাংবাদিকতা। তবে ব্যবসায় মুল। কবি অরিন্দম মাহমুদ বলেন, ছোটবেলা থেকেই ছন্দের মতো কিছু একটা মনের ভিতর যখন উঁকি মারত তখন তা খাতার পাতায় লিখে রাখতাম। আজ সেগুলো কবিতার মতো মনে হয়। এখন কবিতা লিখি। ‘শিল্প ও সাহিত্যের কাগজ’ পালকি সম্পাদনা করি। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে প্রথম ‘সন্ধিক্ষণ’ নামে ভাঁজপত্র বের করি। এরপর ৯৮ থেকে ৯৯ সাল পর্যন্ত সন্ধিক্ষণ নামে ১৫ টি স্মরণিকা বের করেছি। এরপর ২০০০ সালে শিল্প ও সাহিত্যের কাগজ পালকির প্রথম সংখ্যা বের হয়। এ পর্যন্ত পালকির মোট সাত টি সংখ্যা বের করা হয়েছে। পালকির প্রতিটি সংখ্যা একুশে গ্রন্থমেলা ঢাকায় প্রকাশ করা হয়েছে। সর্বশেষ সংখ্যা ২০২১ ঢাকা গ্রন্থমেলায় প্রকাশ পেয়েছে। শিল্প ও সাহিত্যের কাগজ পালকি অষ্টম সংখ্যা প্রকাশনার কাজ চলছে। কবিতা লিখা আমার শখ। কারণ কবিতার মাঝে আমার স্বপ্ন খুঁজে পাই। কবিতায় খুঁজে ফিরি তাই প্রকৃতির রূপ। উল্লেখ্য, কবি সম্পাদক কবি আন্ওয়ার আহমদের জন্ম ১৯৪১ সালের ১৩ মার্চ
বগুড়ায়। তিনি ২৪ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
১৩ views