১৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) দিবাগত রাতে প্রকাশ্যে কয়রা সদর বাজারে ফরহাদের দোকানে আকাশকে মাথায় কুপিয়ে জখম করে তারা। এসময় তার সাথে থাকা গরু বিক্রি করা ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয়। কোপানোর এক পর্যায়ে বাজারের দোকানদারা ঠেকাতে এগিয়ে এলে তাদের ওপর ও চড়াও হন আশিকের সন্ত্রাসী বাহিনী। পরে আশাপাশোর সব দোকানদারে হাঁক ডাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ও মুমূর্ষু অবস্থায় আকাশকে ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এদিকে গত বছরও চেয়ারম্যান বাহারুলের নির্দেশে তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আকাশকে উঠিয়ে নিয়ে মারপিট করার অভিযোগও রয়েছে। এবিষয়ে আকাশ বলেন, আমি বাবার ব্যবসার গরু বিক্রির টাকা নিয়ে কয়রা বাজারে পৌঁছালে চেয়ারম্যান বাহারুলের ভাগ্নে আশিক, আরাফাত সহ ১০-১২ জন আমাকে মাথায় রামদা, চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপাতে থাকে। মানুষ মানুষকে এভাবে মারে না। ওরা ১০-১২ জন আমাকে ইচ্ছাখুশি মতো মারে। আমি পা ধরেও ক্ষমা পাইনি। এসময় আমার সাথে থাকা ৩ লাখ ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এর আগে গত বছর এরা আমাকে তুলে নিয়ে বাহারুলের টর্চার সেলে আটকিয়ে ৬ ঘন্টা অমানবিক মারপিট করে।
আকাশ আরও বলেন, চেয়ারম্যান বাহারুলের নির্দেশে তার পোষা গুন্ডা বাহিনী কয়রা উপজেলায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। যাকে তাকে তুলে নিয়ে সখিনা মার্কেটে টর্চার সেলে নির্যাতন করে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই করে বাহারুল টিনসেড কোটি কোটি মালিক হয়েছে। আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল ফোন ফেরত চাই। উপকূলবাসীকে চেয়ারম্যান বাহারুল ও তার গুন্ডা বাহিনীর অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যান বাহারুলের সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে হামলার শিকার হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, আওয়ামীলীগ নেতা, অধ্যক্ষ শিক্ষক, সার্ভেয়ার সহ কয়রার সর্বস্তরের জনগণ।
এ বিষয়ে কয়রা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এস এম বাহারুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমি চিকিৎসার জন্য খুলনায় অবস্থান করছি। কি হইছে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বলতে পারবো।
এ ব্যাপারে কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ এবিএমএস দোহা (বিপিএম) বলেন, ঘটনাটি শুনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান বলেন, তার বিরুদ্ধে আগেও অনেক অভিযোগ শুনেছি। আমরা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো৷ যেই হোক না কেন, কোন সন্ত্রাসী কর্মকন্ডা করার সুযোগ নেই। আমরা মাদক ও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে আছি।